Tweet অনুবাদ:
বাংলা / Baṅla |
পরনির্ভরতা প্রবণতালেখক ফিল বার্টলে, PhDঅনুবাদকঃ ডাঃ মোহাম্মদ রিফাত হায়দারকর্মশালা তথ্যটীকাকখন সম্প্রদায়ের সদস্যরা আত্মনির্ভরশীল আচরণ প্রদর্শন করতে পারে না, এজন্য কি পরিবর্তন করতে হবে?"পরনির্ভরতা প্রবণতা" হল এমন একটি আচরণ এবং বিশ্বাস যেন একটি গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব সমস্যা বাইরের সাহায্য ছাড়া সমাধান করতে পারে না। এটি এমন একটি দুর্বলতা যা দানের মাধ্যমে আরও প্রকট হয়ে উঠে। কেন আমরা পরনির্ভরতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি? যদি কোন বহিঃস্থ সংস্থা, তা হোক কেন্দ্রীয় সরকার, বা কোন আন্তর্জাতিক এনজিও, বা কোন মিশন, সম্প্রদায়ে এসে একটি মানব সহায়ক স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করে ( যেমন পানি সরবরাহ ব্যবস্থা), সম্প্রদায়ের সদস্যদের পক্ষে এটা ভাবা স্বাভাবিক যে ঐ স্থাপনাটি বহিঃস্থ সংস্থার সম্পত্তি। যখন ঐ বহিঃস্থ সংস্থাটি চলে যাবে অথবা তহবিল সঙ্কটে ভুগবে, সম্প্রদায়ের সদস্যদের মাঝে কোন প্রেরণা কাজ করবে না সেই স্থাপনাটি মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করার, কিংবা ওই সেবাটি বজায় রাখার। স্থাপনাটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং অব্যাহত রাখার জন্য সম্প্রদায়ের সদস্যদের অবশ্যই ঐ স্থাপনাটির জন্য "দায়িত্ববোধ" থাকতে হবে। এধরনের দায়িত্ববোধকে কখনও কখনও সম্প্রদায়ের "নিজস্ব মালিকানা" হিসেবেও অভিহিত করা হয়। যদি সম্প্রদায় সামগ্রিকভাবে স্থাপনাটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ( পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা) জড়িত না থাকে এবং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এটির প্রতিষ্ঠায় অর্থায়ন না করে, তাহলে দায়িত্ববোধ অথবা নিজস্ব মালিকানার বোধ থাকে না। এটি তখন কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা কিংবা অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। একটি মানব সহায়ক স্থাপনা বা সেবা প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং এটির কোন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে না এমনটি ভাবা অসম্ভব। এটা অনেকটা একবার খেয়ে আর কখনও খেতে হবে না ভাবার মত ব্যাপার। যতই জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, ততই সরকারের পক্ষে মাথাপিছু সম্পদের সংস্থান করার পরিমাণ কমতে থাকে। এটি মোটেও যুক্তিযুক্ত নয় যে, সম্প্রদায় কোন মানব সহায়ক স্থাপনা এবং সেবার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল থাকবে। একই ভাবে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীঃ ধনী রাষ্ট্রের সরকার, জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক এনজিও, স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বজুড়ে প্রতিটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দান করার মত যথেষ্ট সম্পদ তাদের নেই, তা কারণটি যতই যথার্থ হোক না কেন। যেখানে একসময় চিন্তা করা হত যে সম্প্রদায়ের আত্মনির্ভরশীলতা নিজেই একটি ভালো ব্যাপার, সেই সাথে এটি তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আত্ম-উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদাকে সমুন্নত করে, বর্তমানে এটি তার থেকেও অনেক পথ অতিক্রম করে গেছে। যদি সম্প্রদায় উত্তরোত্তর আরও আত্মনির্ভরশীল এবং ক্ষমতায়িত না হতে পারে, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের কোন উন্নতি হবে না এবং পরিণতিতে দারিদ্র ও দুঃখ তাদের ধ্বংস সাধন করবে। পরনির্ভরতাকে মোকাবেলা করা আপনার মূল লক্ষ্য। আপনার প্রতিটি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্প্রদায়ে পরনির্ভরতা অবশ্যই কমাতে হবে। কিভাবে সম্পদ আহরণ করতে হয় তা একটি সামাজিক সংগঠনকে শিখানোর সময় সঞ্চালককে অবশ্যই এই মূল লক্ষ্যকে মনে রাখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কোন সম্প্রদায়কে কোন বিনিময় ছাড়া কোন সাহায্য না প্রদান করতে দাতা সংস্থাকে চেষ্টা করতে হবে। কারণ তা পরনির্ভরতাকে প্রশ্রয় দেয়। সবসময় সম্প্রদায়ের সদস্যদেরকে এই বলে উদ্বুদ্ধ করুন যে তারা নিজেরাই প্রকল্প এগিয়ে নিতে পারবে এবং আপনি কেবল কিছু দক্ষতা এবং পরামর্শ বিতরণ করতে এখানে এসেছেন, কিন্তু মূল কাজটি তাদেরকেই সম্পন্ন করতে হবে। সেটিকে সামাজিক প্রকল্প অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সময় আপনি কখনোই তাদের জন্য প্রকল্পের কোন কাঁচামাল সংগ্রহ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিবেন না। এই ওয়েব সাইটে বর্ণিত পদ্ধতিকে বলে সামাজিক ক্ষমতায়ন পদ্ধতি; যা সুনির্দিষ্ট ভাবে পরনির্ভরতার বিরুদ্ধে নংগ্রাম করার জন্য প্রণীত হয়েছে। আপনি একজন সঞ্চালক হিসেবে কিভাবে তহবিল গঠন ও অন্যান্য সম্পদ আহরণ করা করা যায়, কিভাবে হিসাব-নিকাশ স্বচ্ছ ও সহজ রাখা যায়, এবং কিভাবে আর্থিক নয় এমন সাহায্যকে আর্থিক সাহায্যে রূপান্তরিত করা যায়- এ সব ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, তবে আপনি সবসময়ই একটি ব্যাপারে জোর দিবেন যে, সম্পদের প্রকৃত আহরণের কাজটি সম্প্রদায় বা সম্প্রদায়ের পক্ষে এর সামাজিক সংগঠন ( যথা কার্যনির্বাহী কমিটি)কেই করতে হবে, আপনি নন। ––»«––সামাজিক অবদান: © কপি রাইট ১৯৬৭, ১৯৮৭, ২০০৭ ফিল বার্টল
––»«–– |
হোম পেজ |
প্রকল্প নকশা |