হোম পেজ
 সমবেতকরণ




অনুবাদ:

Bahasa Indonesia
বাংলা / Baṅla
Català
中文 / Zhōngwén
English
Español
Filipino/Tagalog
Français
Ελληνικά / Elliniká
हिन्दी / Hindī
Italiano
日本語 / Nihongo
Kiswahili
Polszczyzna
Português
Română
Русский
Tiếng Việt
اردو / Urdu

                    

অন্য পেজ:

মডিউল

সাইট ম্যাপ

গুরুত্বপুর্ন শব্দসমূহ

ঠিকানা

সাহায্যকারী তথ্যাবলী

কর্যকরী লিংক

সাথীদের সাথে আহার

জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে খাদ্যের ভূমিকা

লেখক ফিল বার্টলে, পিএইচডি

অনুবাদক [এডভোকেট মুহাম্মদ এরশাদুল করিম]


প্রশিক্ষণের সময় বিতরনযোগ্য কাগজপত্র

"কে কার সাথে খাবার খায়" এই বিষয়টি সমবেতকরনে প্রভাব ফেলে

ভুমিকা:

জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের একটি দিক, যা প্রায়শঃই জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বিষয়ক পাঠ্য বই এবং শিক্ষনে উপেক্ষিত থাকে তা হচ্ছে দলবদ্ধভাবে আহার করা। প্রজেক্ট সম্পন্ন করার উৎসব এবং অন্যান্য গুরূত্বপূর্ণ কার্যাবলীর মতো এমন কিছু যাকে ছুটি বা সাধারণ মানুষের মাঝে "অবসর" বলে গন্য করা হয় তা সমবেতকারীর কাজের অন্যতম গুরূত্বপূর্ণ অংশ ।

একজন সমাজ বিজ্ঞানী যেমন বলতে পারেন যে, খাদ্যের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বিষয়ক উপকারিতার অধিক ভুমিকা রয়েছে । আমরা কার সাথে খাই, কখন খাই, কোথায় খাই এবং কোন পরিস্থিতিতে খাই . . .এই সবই সমাজবিজ্ঞানে গুরূত্বপূর্ণ । (যদি কেবল যুক্তি এবং পুষ্টিই একমাত্র বিবেচ্য হতো তবে আমরা পোকামাকড় খেতাম) |

এই বিবেচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই, সমবেতকারীকে প্রথমে জনগোষ্ঠী সম্পর্কে এবং এখানে কিভাবে আচরণ করতে হবে সে সম্পর্কে জানতে হবে এবং দ্বিতীয়ত সমবেতকরনের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের কৌশলে অন্তভূক্ত করতে হবে ।

একই টেবিলে আহারের রীতি:

"কমেনসাল" শব্দটি ল্যাটিন এবং আরবী ভাষা থেকে উদ্ভূত যার অর্থ হচ্ছে কোন টেবিল ভাগ করা । সমাজবিজ্ঞানে, খুবই সাধারণ ভাষায় "যে সকল ব্যাক্তি একই টেবিলে বসে খাবার খায়" বুঝাতে এই অভিব্যাক্তিটিকে ব্যবহার করা হয়।

নিজেকে দিয়ে শুরূ করূন: সেইসব লোকদের কথা চিন্তা করূন যাদের সাথে আপনি খাবার খান এবং খান না। সাধারণভাবে, যাদের সাথে আপনি খাবার খান তাদের মধ্যে আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব অর্ন্তভূক্ত।

যাদের সাথে আপনি যে কোন কারনেই হোক খাবার খান না, তারা সামাজিকভাবে অধিকতর দূরবর্তী: অধিকতর উচু বা নিচূ শ্রেণীর বা সামাজিক মর্যাদার, আগন্তুক, শত্র এবং মারাত্মক প্রতিদ্বন্দী এবং মাঝে মাঝে ঐসব ব্যক্তিরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, নৃতাত্বিক, ধর্মীয়, লিঙ্গ, বয়স বা পেশাগত শ্রেণীর।

এই সমস্ত বিষয়সমূহ সমাজ থেকে সমাজে , সময় থেকে সময়ে এবং জনগোষ্ঠী থেকে জনগোষ্ঠীতে পরিবর্তনশীল। এগুলো সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তিত হয়; কোন কোন ব্যক্তির সাথে আপনি কর্মক্ষেত্রের ক্যাফেটেরিয়াতে খেলেও তাদের বা আপনার বাড়িতে খাবেন না।

সাধারণভাবে (আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, অন্যান্য অনেক ব্যতিক্রমসহ) যেখানে সংহতি এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকে সেখানে মানুষ অন্য মানুষের সাথে আহার করে। কোন কোন সময় উক্ত বিশ্বাস বাস্তবের চাইতে বেশী দৃশ্যমান হয়; কোন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সাথে আহার করে এটা বুঝাতে যে, সে তাকে খুবই বিশ্বাস করে যদিও আসলে তারা আদৌ বিশ্বাস করে না। না। অন্যের সাথে আহার, অন্যান্য সাংস্কৃতিক বিষয়ের মতো, প্রতীকী এবং অনেক মূল্যবোধ এবং অর্থ প্রকাশ করে।

প্রভাব দ্বিমুখী:

(ক) সামাজিক অবস্থান বা সম্পর্ক এবং (খ) কে কার সাথে আহার করে তার সংগঠন জ্ঞাত এবং দৃশ্যমান। তা এটা প্রমাণ করে না যে, এদের মাঝে কোন ঐচ্ছিক সম্পর্ক বিদ্যমান, কিন্তু এটা সাক্ষ্য দেয় যে, এদের মাঝে এই রকম কোন সম্পর্ক থাকতে পারে।

এই ঐচ্ছিকতা কোন পথে? জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞ সমবেতকারীরা জানেন যে, প্রভাব দ্বিমুখী। মানুষ কিভাবে একে অন্যকে বিচার করে তা প্রভাবিত হতে পারে কে কার সাথে সচেতনভাবে আহার করতে পছন্দ করে তার ভিত্তিতে। বিপরীতভাবে, কে কার সাথে আহার করে তা প্রভাবিত হতে পারে মানুষ কিভাবে একে অন্যকে বিচার করে তার ভিত্তিতে।

সমবেতকারীর জন্য এই ক্ষেত্রে দুইটি নিহিতার্থ রয়েছে। (১) সমবেতকারীর কার্যপরিধির অন্যতম একটি গুরূত্বপূর্ণ কাজ, কোন জনগোষ্ঠীর সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ঠ্য সম্পর্কে জানা সমৃদ্ধ হয় কে কার সাথে আহার করে তা জানার মাধ্যমে। (২) যখন মানুষ অন্যের সাথে আহার করে যাদের সাথে সে সাধারণভাবে করে না এমন অবস্থার তৈরী করার অর্থ হচ্ছে নতুন সামাজিক সম্পর্ক প্রবর্তন করা এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা।

সমবেতকারীর কাছে ঐক্য বড়ই গুরূত্বপূর্ণ। দেখুন ঐক্য সমবেতকরন. যদি মানুষকে একসাথে এনে আহার করালে তাদের একতা বৃদ্ধি পায় তবে তা সমবেতকারীর হাতিয়ার বাক্সে আরেকটি হাতিয়ার।

জনগোষ্ঠীকে সমবেতকরনে আহারের তিন অবস্থা:

জনগোষ্ঠী বা কমিটির সদস্যদের সামাজিক উৎসবে একসাথে আহার করানোর অনেক সুযোগ থাকতে পারে। জনগোষ্ঠী সম্পর্কে সমবেতকারীর যত বেশী জ্ঞান থাকবে ততবেশী এই ধরনের সুযোগ আবিস্কৃত হবে।

এই রকমের তিনটি অবস্থা হচ্ছে:
  • নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে নির্মাণ শ্রমিকদের আহার করানো;
  • নির্বাহী কমিটির সভায় নাস্তা পরিবেশন করা; এবং
  • উৎসব উদযাপনের সময় নাস্তা পরিবেশন করা।

জনগোষ্ঠীর সদস্য যারা সম্প্রদায়ের “মৌমাছি” হিসাবে তাদের শ্রম সমাজের এলাকাসমূহ পরিচ্ছন্নতার কাজে প্রদান করে বা প্রজেক্ট নিমার্নে অবদান রাখে তাদের খাবার প্রদান করা, কাজের জন্য উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে এবং একতা এবং সংহতি উন্নয়নে একটি গুরূত্বপূর্ণ ব্যাপার।

গ্রামে যেসকল কৃষক অর্থ সাহায্য প্রদান করতে না পারেন তারা হয়ত তাদের উৎপাদিত কিছু শস্য প্রদানে আগ্রহী হবেন। অধিকন্তু সমাজের কিছু সদস্য, যারা নির্মান কাজের মতো ভারী কাজে অংশগ্রহণ করতে অপারগ, তারা হয়ত তাদের শ্রম এবং উদ্যোগ রান্না করা এবং প্রদত্ত খাবার পরিবেশনে আগ্রহী হবেন।

প্রয়োগকারী বা নির্বাহী কমিটির শ্রম বাতিল করে দেয়া সহজ। জনগোষ্ঠীর কোন প্রজেক্টে তারা তাদের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি এবং সময় ব্যয় করে। তাদেরকে অবশ্যই জনগোষ্ঠীর অর্থ ব্যয় করার সময় জনগোষ্ঠীর মাঝে বিশ্বাস এবং উৎসাহ বজায় রাখার জন্য স্বচ্ছ থাকার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যদি জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের সভার জন্য, এমনকি সৌজন্য হিসাবে, সামান্য খাবার তৈরী করে, তবে জনগোষ্ঠীর সম্পদের অপব্যবহার করে আয় বাড়ানোর জন্য গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদেরকে কম সন্দেহ করা হবে।

প্রজেক্ট সম্পন্ন করার সময় সামাজিক উৎসবের সময় সমবেতকারী জনগোষ্ঠীকে গুরূত্বপূর্ণ এবং সুপরিচিত ব্যক্তিদের উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন। এতে সাংবাদিকরা উৎসাহিত হয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের প্রচার করবে। যদি জনগোষ্ঠী উপস্থিত সবাইকে না হলেও কেবল গুরূত্বপূর্ণদেরকে নাস্তা প্রদান করে তাহলেও জনগোষ্ঠীর মাঝে আস্থা এবং সংহতি বৃদ্ধি পাবে।

খাবার বাছাই করা:

কি খাবার প্রদান করা হবে তা সমবেতকারী বাছাই করবেন না। সমবেতকারীর কাজ হচ্ছে যদি জনগোষ্ঠী না হয়, তবে কমিটিকে কোন খাবার কখন, কি, কোথায়, কি পরিমান পরিবেশন করতে হবে এবং অন্যান্য বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে উৎসাহিত করা। যদি কি খাবার পরিবেশন করতে হবে এই মর্মে কোন কমিটি গঠন করা হয়, তবে তাদের পছন্দ সমবেতকারীর তথ্যের গুরূত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ কোন নিষিদ্ধ বা বিতর্কিত খাবার বাছাই করার অর্থ হলো নির্বাহীদের মাঝে দলাদলির প্রভাব নির্দেশক। উদাহরণস্বরূপ, শুয়োর মুসলমানদেরকে, গরূ হিন্দুদেরকে, মাংস নিরামিশাষীদেরকে পরিবেশন করা উচিত নয়। কমিটি যদি এই ধরনের খাবার পছন্দ করে তবে তা সমবেতকারীর নিকট একটি সূত্র যে, কমিটি অন্য দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট।

সমবেতকারীর নিরবে অগোচরে কমিটিকে বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত যে, এতে করে সমাজের মাঝে বিভিন্ন খাবার প্রচলনের বিষয়টি অধিকতর স্পর্শকাতর হওয়া উচিত। যদি তা নিরবে সমাধান করা না যায়, তবে যেহেতু উক্ত প্রজেক্টটি কোন বিশেষ দলের না বরং সমাজের সবার জন্য তাই পরিবেশিত খাবার সবার জন্য হতে হবে বা কোন দলের সন্তুষ্টির জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে এই মর্মে সমবেতকারী জন সমাবেশে সমাজের সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি উত্থাপনে প্রয়োজনীয় মনে করতে পারেন।

জনগোষ্ঠীর অনেক প্রজেক্টে, বিশেষভাবে যেখানে গুরূত্বপূর্ণ অতিথিদেরকে নাস্তা প্রদান করা হয়, সেখানে রীতি হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত বোতলজাত বা (টিনজাত) কোমল পানীয় পরিবেশন করা হয়। লেখক এই ধরনের পানীয় পরিবেশনের মাধ্যমে "কোকাকোলাকরন" বা বৈশ্বিক ব্যান্ডের আনুগত্য অনুমোদন করেন না। সেদ্ধ পানি, স্থানীয় পানি এবং চা এবং/বা কফিই অধিক কাম্য।

সারমর্ম:

আহারের সংস্কৃতি এবং দলীয়ভাবে আহার "যারা একটি টেবিলে ভাগাভাগি করে বসেন" সমবেতকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা সমবেতকারী কত ভালোভাবে জনগোষ্ঠীকে জানেন তা যাচাই করার একটি নির্দেশক, এবং জনগোষ্ঠী কতটা একতাবদ্ধ বা বিভক্ত তা যাচাই করার নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।

জনগোষ্ঠী এবং এর প্রজেক্ট নির্বাহী কমিটিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেখানে লোকজন একত্রে খাওয়াদাওয়া করতে পারে এই বিষয়ক পরামর্শ প্রদান এবং উৎসাহিত করলে একতা, সংহতি এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে যা জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নে গুরূত্বপূর্ণ নিয়ামক।

একজন ভালো সমবেতকারীর কৃত অধিকাংশ কাজের মতো, সমবেতকারী অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি উৎসাহিত করেন, জনগোষ্ঠীকে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং একে এবং প্রজেক্টকে হুকুম করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চাইতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উজ্জীবিত করেন।

তথ্যসূত্রসমূহ:

খাদ্য এবং সংস্কৃতি: http://lilt.ilstu.edu/rtdirks/SOCIAL.html

মার্গারেট ভিসার: http://www.umanitoba.ca

--»«--

জনগোষ্ঠীর অবদান: প্রদত্ত শ্রমের জন্য আহার


ব্যাখ্যা ১৪


© কপি রাইট ১৯৬৭, ১৯৮৭, ২০০৭ ফিল বার্টল
ওয়েব ডিজাইন লুসে সাদা
––»«––
শেষ আপডেটঃ ০৮.০২.২০১১

 হোম পেজ

 সমবেতকরণ