Tweet অনুবাদ:
Bahasa Indonesia |
সমবেতকরন চক্র বিশ্লেষণলেখক- ফিল বার্টলে, পি. এইচ. ডি.অনুবাদক এডভোকেট মুহাম্মদ এরশাদুল করিমপ্রশিক্ষণের সময় ব্যবহৃত কাগজপত্র এবং তথ্যসূত্রচক্রের প্রতি স্তরের বিস্তারিতসারসংক্ষেপ : এই লেখাতে সমবেতকরন চক্রের প্রতিটি স্তরের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।এটি পড়তে হবে সমবেতকরন চক্রের উপর প্রশিক্ষণের সময় বিতরনযোগ্য এক পাতার কাগজের সাথে । চক্র সুসংহতকরন ব্যাখ্যা দ্বারা চক্র ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভুমিকা: সমবেতকরন চক্রকে মাঝে মাঝে বলা হয় “জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি চক্র”, বা “সমস্যা সমাধান চক্র” বা “জনগোষ্ঠী উন্নয়ন চক্র” বা “সামাজিক উদ্দীপনা চক্র”। এটি (এক বা একাধিক সমবেতকারী দ্বারা সম্পাদিত) নানাবিধ মধ্যবর্তী ঘটনার সিরিজ যা দ্বারা কোন একটি জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের উন্নয়নে প্রভাবিতকারী সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণে অধিকতর সম্পৃক্ত করা যায়। একে “চক্র” বলা হচ্ছে, যেহেতু এটির পুনরাবৃত্তি হয়, প্রতিবার এটি নির্মিত হয় পুর্ববর্তী সফলতা, ভ্রান্তি এবং শিক্ষণীয় বিষয় থেকে।
চক্রটি:
প্রধান
পদক্ষেপসমূহ:
কোন নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সকল সদস্যের (জৈবিক এবং সামাজিক বৈশিষ্ঠ্যের উর্দ্ধে ) অংশগ্রহণ দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জনগোষ্ঠীকে সুদৃঢ়করণে অত্যাবশ্যকীয়। জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রচেষ্ঠায়, বিশেষভাবে “অংশগ্রহণ” এর অর্থ হলো নিয়ন্ত্রণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগোষ্ঠীর সম্পুর্ণ (কেবল জনগোষ্ঠীর কিছু অংশের নয়) অংশগ্রহণ। মুল সিদ্ধান্ত যা গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে, তার মধ্যে অর্ন্তগত: যাচাই করার অবস্থা (প্রয়োজন এবং সম্ভাবনা); অগ্রবর্তী সমস্যা নির্ধারণ (এবং সেগুলো থেকে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বের করা); পরিকল্পনা কাজ (জনগোষ্ঠীর কার্যপরিকল্পনা, প্রজেক্ট তৈরী): সেগুলো তদারকি এবং বাস্তবায়ন করা এবং তাদের ফলাফল মূল্যায়ন করা। জনগোষ্ঠী সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে (বাহিরের কারও জন্য ফেলে রেখে নয়)। সম্পদের অংশগ্রহণ (উদাহরণস্বরূপ দান, সম্প্রদায়ে শ্রম, যোগান), সংলাপ এবং বাহিরের সংস্থাসমূহের সাথে পরামর্শকে উৎসাহিত করা হয়, যদিও এই স্তরে “অংশগ্রহণ”, “অবদান রাখা” বা “পরামর্শ” এর চাইতে অধিকতর বিস্তৃত এবং অর্ন্তভূক্ত। স্পর্শকাতরতা এবং সক্ষমতা: জনগোষ্ঠীর সমবেতকারীদের কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে এবং আইনগত অবস্থান অর্জন করতে হবে যদি তারা উষ্কানীর ইন্দনদাতা হিসাবে পুলিশ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ব্যক্তিদের দ্বারা আটক এবং নিপীড়নের ঝুকি এড়াতে চান। অধিকন্তু, কর্তৃপক্ষের মাঝে যেখানে “যোগান” পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে বেশী অর্পিত আগ্রহ নিহিত এবং “সক্ষমতা” পদ্ধতি সম্পর্কে ভয়, যেমন সরকারী কর্মকর্তা, কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, গতানুগতিক বা নতুন নেতৃবৃন্দ, এবং কৌশলগত বিশেষজ্ঞ প্রভাব, জনপ্রিয়তা, বোট, পদন্নতি এবং পেশাগত উন্নতি আদায়ে “যোগান” পদ্ধতির তাৎক্ষণিক সুবিধা দেখেন। স্পর্শকাতরতা কেবল কোন আনুষ্ঠানিকতাই নয়, তা যথেষ্ঠ পরিকল্পিত এবং বাস্তবায়ন হতে হবে। গুজব এবং ভ্রান্ত অনুমান মোকাবেলা স্পর্শকাতরতা কৌশলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি: কোন কাজ করার (এবং পরে শেখানো এবং শক্তিশালী করার) জন্য জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করার আগে, সমবেতকারীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট বাস্তবতা সম্পর্কে জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সচেতন করতে হবে। এই পদক্ষেপ এর সময়, ভ্রান্ত প্রত্যাশা জন্মানো পরিহার এবং সহায়তার প্রত্যাশা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় অনুমান এবং গুজব যথাযথভাবে মোকাবেলা করা গুরূত্বপূর্ণ।
সচেতনতার
বিষয়টিতে অর্ন্তগত থাকে-
ঐক্য প্রতিষ্ঠাকরণ: কোন জনগোষ্ঠী একতাবদ্ধ নয়; প্রত্যেক্যের মাঝে দলাদলি এবং বিভক্তি রয়েছে। যার মাত্রার তারতম্য হতে পারে। যখন অতিরিক্ত সামাজিক বৈষম্য থাকে, অগ্রবর্তী সমস্যা সমাধানে এবং অগ্রবর্তী লক্ষ্য নির্ধারনে একমত হতে জনগোষ্ঠীর মতামতে উপনীত হওয়া কঠিন। জনগোষ্ঠীর সমবেতকরনে ঐক্য প্রতিষ্ঠাকরণ প্রয়োজনীয় নজির, এবং সমগ্র চক্রে প্রয়োজন মোতাবেক চলমান থাকে। দেখুন, ঐক্য প্রতিষ্ঠাকরণ. সমবেতকারীর প্রশিক্ষণ: স্বল্পসংখ্যক সমবেতকারী প্রয়োজনের সময় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার জন্য উৎসাহী করতে পারে না। উগান্ডার জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন প্রোগ্রামে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সমবেতকারীদের স্থানীয় দশটি কাউন্সিল ছিল। এগুলো ছিল অবৈতনিক স্বেচ্ছাসেবক যেগুলো প্রকৃতভাবে প্রতিরোধক আন্দোলনের অংশ হিসাবে গঠিত হয়েছিল যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল মুসভিনি’র অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। আমরা তাদেরকে কিছুদিন প্রশিক্ষণ এবং কিছু উপহার সামগ্রী যেমন টি-শার্ট এবং সাইকেল দিলাম এবং তারা সমবেতকরণের উদ্যোগ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং তাদের সাহায্যকারীদের মাঝে প্রসারিত করল। আত্ম -সাহায্যের জন্য উৎসাহী যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সমবেতকারীর অপ্রতুলতা এই ওয়েবসাইট তৈরী এবং বিস্তৃতি এবং এতে রক্ষিত প্রশিক্ষণ মডিউলসমূহ উন্নয়নে অন্যতম বিবেচ্য। এই নির্দেশনাসমূহের অনেকগুলোই স্থানীয় ভাষায় প্রশিক্ষণ বিষয়ক জিনিষপত্র এবং স্থানীয় নানাবিধ বিষয় উপর ভিত্তি করে গৃহীত। প্রশিক্ষণ বিষয়ক মূল জিনিষপত্র হচ্ছে শক্তির জন্য প্রশিক্ষণ, জনগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ পাঠ্যসূচী, এবং সমবেতকারীদের (১) সমবেতকরন, (২) আয় প্রবাহ, এবং (৩) তদারকি এর উপর তিনটি হ্যান্ডবুক। যেহেতু কেবলমাত্র সামান্য কিছু তহবিল সংগ্রহ না হয়ে, ক্ষমতায়নের এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ হচ্ছে সমবেতকরন এবং ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক জিনিষপত্রই এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ: জনগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রামের একটি অন্যতম উপাদান যা একে প্রচলিত উজ্জীবনী অনুষ্ঠান বা জনগোষ্ঠী উন্নয়ন ঘটনার থেকে আলাদা করেছে তা হলো এর সাথে ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ এর যোগ। কেবলমাত্র কোন নিম্ন আয়ের বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নমুলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কার্যক্রমে অংশগহণের সুযোগ বা উৎসাহদান করাই যথেষ্ঠ নয়, সাথে সাথে জনগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণের যোগ্য করে গড়ে তোলা ও প্রয়োজনীয়। ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ সেই যোগ্যতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই পরিচালিত। যোগ্যতা নির্মানের পন্থা হিসাবে, ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ প্রচলিত প্রশিক্ষণের সীমানা অতিক্রম করে যেখানে কেবল দক্ষতা হস্তান্তর করা হয়। বড় বড় সংস্থার উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপকদের জন্য পঞ্চাশ দশকে প্রণীত ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণে কিছূ দক্ষতা হস্তান্তরিত হয়, এছাড়াও সচেতনতা বৃদ্ধি, তথ্য হস্তান্তর, উৎসাহ প্রদান এবং পুর্নগঠন (সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা) সম্পন্ন হয়। আমাদের অংশগ্রহণকারীরা বলতে পছন্দ করেন যে, “এটি কেবলমাত্র ক্ষমতায়ন, সমবেতকরন এবং সংগঠিতকরনের জন্য প্রশিক্ষণ নয়, এই প্রশিক্ষণটিই ক্ষমতায়ন, সমবেতকরন এবং সংগঠিতকরন।” অংশগ্রহণমূলক যাচাই: যদিও সমবেতকারীকে প্রথমেই জনগোষ্ঠীর সম্পদ, সম্ভাবনা, বাধাসমূহ এবং প্রয়োজন সম্পর্কে যাচাই করতে হয়, সমবেত চক্রের কৌশলে সামগ্রিকভাবে জনগোষ্ঠীর উপর একটি পর্যালোচনা করতে হয়। এর সবকিছু হয়ত তাৎক্ষনিকভাবে করা যাবে না, এবং এটি তৈরী এবং সংগঠিত হওয়ার পর যা জনগোষ্ঠীর নির্বাহী দ্বারা পরে করতে হবে বা করা চালু থাকবে। মধ্যবর্তীকালীন সময়ে প্রতিটি ভবিষ্যত পরিকল্পনা অবলোকনকৃত বাস্তবতার ভিত্তিতে হতে হবে, কাল্পনিকভাবে বা জনগোষ্ঠীর কোন অংশের স্বার্থে হবে না। জনগোষ্ঠীর প্রর্ত্যেকের দ্বারা প্রয়োজন এবং সম্ভাবনা স্বীকৃত হতে হবে। অগ্রাধিকার, সমস্যাসমূহ এবং লক্ষ্যসমূহ নির্দিষ্টকরণ: যখন নারী এবং প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্য লোকেরা যারা জনগোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পূর্ণভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ বঞ্চিতসহ সকল ভিন্ন মতালম্বীরা যথাযথভাবে একতাবদ্ধ এবং অর্ন্তভূক্ত থাকে, তখন জনগোষ্ঠীকে কোন কাজে লাগানোর উপযুক্ত সময়। এটা করা হয় অগ্রাধিকার সমস্যাসমূহ সম্পর্কে ঐক্যমত এর ভিত্তিতে, এবং অগ্রাধিকার লক্ষ্যসমূহ চিহ্নিতকরণের উপায় হিসাবে। মাথা খাটানোর কৌশলটি এখানে ব্যবহার করার মতো অন্যতম একটি উপাদান। জনগোষ্ঠীর কর্ম পরিকল্পনা (সি.এ.পি.) জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা পরবর্তী সময়ে, এক বছরে, পাচঁ বছরে (সাধারণত জেলা পরিকল্পনার মতো একই সময়) কি চায়। পরিকল্পনায় জনগোষ্ঠীর একটি বা বিভিন্ন প্রজেক্ট অর্ন্তভূক্ত থাকে। একটি সি.আই.সি. প্রতিষ্ঠা, নির্বাহী কমিটি: যেহেতু একটি প্রজেক্টের রূপরেখা হাজার লোকের জনসমাবেশে করা সম্ভব নয়, এটি আসলে ব্যবহারিকভাবে প্রয়োজনীয় যে, জনগোষ্ঠী একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করবে (প্রজেক্ট কমিটি, উন্নয়ন কমিটি, সি.আই.সি. বা জনগোষ্ঠীর বাস্তবায়ন কমিটি)। বা জনগোষ্ঠীর বাস্তবায়ন কমিটি)। যদি ভোটের মাধ্যমে হলে দ্বন্দ্ব এবং বিভক্তি দেখা দেয়, তবে এই নির্বাহী কমিটি ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে, এই ক্ষেত্রে সমবেতকারীকে অবশ্যই জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধ এবং রীতিনীতির প্রতি সচেতন এবং স্পর্শকাতর হতে হবে। এরপর সমবেতকারীর প্রয়োজন হবে জনগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা এবং নেতৃত্ব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাতে করে তা সম্পূর্ণ সমাজের প্রতি অস্বচ্ছ (গোপনীয়) না হয়। সি.আই.সি. কর্মপরিকল্পনা পুনরীক্ষণ করবে, প্রয়োজনে বিস্তারিতভাবে যোগ করবে এবং জনগোষ্ঠীর অনুমোদনের জন্য প্রজেক্ট রূপরেখা তৈরী করবে (সমবেতকারী আবার ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিকে উৎসাহিত করবেন)। এক্ষেত্রে এটি প্রয়োজনীয় যে, জনগোষ্ঠীন ব্যবস্থাপনা কৌশলের প্রতি অধিকতর লক্ষ্য রাখা হয় (দ্বিতীয় উপাদানে) এবং একে সমবেত চক্রে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। জনগোষ্ঠীর প্রজেক্ট রূপরেখা: ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের মূল চাবি হচ্ছে চারটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা এবং উত্তর দেয়া: (১) আমরা কি চাই? (২) আমাদের কি আছে? (৩) যা আমরা চাই তা পেলে আমরা কিভাবে তা ব্যবহার করি? এবং (৪) আমরা যখন করি তখন কি হবে? জনগোষ্ঠীর প্রজেক্ট রূপরেখায় এগুলোকে বিস্তৃত করা হয়। এই পদ্ধতি বিধিটি, উক্ত প্রশ্নসমূহের উত্তরে, এবং জনগোষ্ঠীর প্রজেক্ট রূপরেখায় অংশগ্রহণমূলক, যেহেতু এখানে সমবেতকারী প্রশিক্ষক হিসাবে নির্দেশনা প্রদান করেন (কে প্রশ্ন করেন), এবং অংশগ্রহনকারীরা দল হিসাবে সঞ্চালন করে (কে উত্তর দেয়)। প্রজেক্ট হচ্ছে কোন কাজ (বা কাজের সমষ্টি যা সম্পর্কে জনগোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (দল হিসাবে যারা সমবেতকারী দ্বারা উজ্জীবিত হয়)। প্রজেক্ট রূপরেখার কাঠামো এ রকম হতে পারে: সমস্যাটি কি? সমস্যার সমাধান হিসাবে লক্ষ্যসমূহ চিহ্নিত কর; লক্ষ্যসমূহকে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যে সংশোধিত কর (এস.এম.এ.আর.টি)সম্পদ এবং সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত কর; উক্ত সম্পদসমূহ ব্যবহারে কৌশল তৈরী কর, বাধাসমূহ দুর কর এবং উদ্দেশ্যসমূহ পূরণ কর; সবচাইতে কার্যকরী কৌশল বাছাই কর, সংগঠন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর (কাঠামো, কে কি করে, বাজেট, সময়সূচী), এবং তদারকি, প্রতিবেদন দান এবং মূল্যায়ন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর। সমঝোতা: সমবেতকারী এখানে একটি গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। একদল বাহিরের সম্পদের উপর আতিমাত্রায় নির্ভরশীল; অন্যদিকে হলো তারা যাদের জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত সম্পদ দরকার (এবং সেখান থেকে ছাড় দেয়া যেখানে তাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে যেমন কেন্দ্রীয় বা জেলা সরকারী রাজস্ব তহবিল)। যেক্ষেত্রে প্রজেক্ট রূপরেখা প্রস্তাব হিসাবে ব্যবহৃত হয়, বা একটি প্রস্তাব যা জনগোষ্ঠীর নির্বাহী দ্বারা লিখিত হলে ভালো হয়, তা জনগোষ্ঠী এবং বাহিরের কর্তৃপক্ষের মাঝে এবং সম্ভাব্য সম্পদের উৎসের মাঝে সমঝোতার একটি দলিল হয়। যদি বাহিরের সম্পদ না ও চাওয়া হয়, জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিত করতে হয় যে, এর পরিকল্পনা ভৌগলিক পরিবেশ, প্রতিবেশী জনগোষ্ঠী, যে জেলায় বা অঞ্চলে তা অবস্থিত, কোন জাতীয় পরিকল্পনা বা অগ্রাধিকার বিষয়ক সাধারণ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সমঝোতা আলোচনায় এই বিষয়সমূহ অর্ন্তভূক্ত হতে হবে। জনগোষ্ঠীর প্রজেক্টের প্রত্যেক সুবিধাভোগী সমঝোতা আলোচনায় অর্ন্তভূক্ত থাকবেন। যেক্ষেত্রে জনগোষ্ঠী সম্পদ বা অনুমোদন বা উভয়ই চায়, এর প্রজেক্ট রূপরেখা এবং/বা প্রস্তাব হচ্ছে সমঝোতার দলিল। চুক্তি তৈরী এবং সমঝোতা: চুক্তি একটি ঐচ্ছিক দলিল যা এখানে সুপারিশ করা হচ্ছে। সমবেতকারী প্রজেক্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে কোন চুক্তির খসড়া প্রণয়নে সহায়তা করতে পারে এবং জনগোষ্ঠীকে নির্দেশনা দিতে পারে। এর শব্দগুলো সহজ এবং এটি সংক্ষিপ্ত হওয়া দরকার, যেক্ষেত্রে প্রস্তাব বা প্রজেক্ট পরিকল্পনা পরিশিষ্ঠ হিসাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা সংশ্লিষ্ট সকল সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে হতে হবে, এবং এই পর্যায়টি উপরে বর্ণিত সমঝোতা প্রক্রিয়ার সাথে সংমিশ্রিত হতে পারে। সমঝোতা নিশ্চিত করে যে, প্রস্তাবিত প্রজেক্ট সম্পর্কে জন স্বচ্ছতা রয়েছে, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সবার (প্রত্যেক সুবিধাভোগী) জনগোষ্ঠীর প্রজেক্টের উদ্দেশ্য এবং কার্যপরিকল্পনা সম্পর্কে বোঝার সুযোগ রয়েছে। তারা জনগোষ্ঠীর এর প্রজেক্ট সম্পর্কে দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে আইনগত বৈধতা নিশ্চিত করে। চুক্তি স্বাক্ষর: স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সুবিধাভোগী সকলের প্রতিনিধিরা (জনগোষ্ঠীর নির্বাহী, জেলা কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সংস্থার কর্মকর্তা, সমবেতকারীরা) অন্তর্ভূক্ত থাকবেন। চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান তাদের সবার একসাথে একবার মুখোমুখি হওয়ার একটা উপলক্ষ্য হবে। তাই এটা সমবেতকারীর জন্য নিজের প্রজেক্টে (সামাজিক সংযোগ; জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহন) জনগোষ্ঠীর সবাইকে উন্নয়নের উচ্চমাত্রার বৈশিষ্ঠ্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করার একটা সুযোগ। যদি তা নিশ্চিত করা যায় যে, স্বাক্ষরকারীরা পূর্বেই চুক্তিতে স্বাক্ষরে সম্মত ছিল, তাহলে স্বাক্ষরের জন্য অনূষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে, এবং পরবর্তী অনুষ্ঠানে তা অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে। কোন বিশেষ কামরা যেমন কোন শ্রেণী কক্ষে নির্দিষ্ট করলে তা স্বাক্ষরকারীরা উপভোগ করতে পারেন। জনসম্মুখ্যে এই অনুষ্ঠান করলে তার আইনগত বৈধতা বাড়বে, এবং জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। প্রথম কিস্তির অর্থ প্রদান: যদি জনগোষ্ঠীর প্রজেক্টের জন্য আর্থিক সম্পদ সংগ্রহ করাই প্রস্তাব এবং চুক্তির উদ্দেশ্য হয় (এবং নির্ভরশীলতার শর্ত স্মরণে রেখে), তখন প্রথম কিস্তির অর্থ জনগণের উৎসবের সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করা যায় (হতে পারে চুক্তি স্বাক্ষরের সাথে একসাথে)। এটি প্রজেক্টের প্রোফাইল এবং তার রূপরেখায় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর একটি সুযোগ। স্থানীয় সাংস্কৃতিক দল, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বা স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা গান, নাচ, বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনের মাধ্যমে বিনোদন জনগোষ্ঠীর এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গৌরব এবং অহংকার বৃদ্ধির একটি সুযোগ হতে পারে। সংবাদ মাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে যাতে অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে বেতার, স্থানীয় সংবাদপত্র বা জাতীয় টেলিভিশনে উপস্থাপন করা যায়। এর কারণ হচ্ছে যে, তা স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে, প্রজেক্টের প্রোফাইল বাড়াবে, এবং জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। প্রয়োগ প্রক্রিয়া শুরূ: এই ক্ষেত্রে জনগোষ্ঠী এবং এর নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বা রাজনীতিবিদদের মতো কাজ এবং ফলাফলে (উদাহরণস্বরূপ, শৌচাগার, জল সরবরাহ, চিকিৎসালয় বা বিদ্যালয় নির্মান) অধিকতর আগ্রহী হবে, এবং প্রয়োজনগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে হবে এবং উৎসাহ প্রদান করতে হবে যাতে তদারকি এবং প্রতিবেদন প্রদান কাজের সাথে সমান্তরাল হয়। জনগোষ্ঠীর আগ্রহে ভাটা পড়ে বা তা বিলুপ্ত হয়, যদি কাজে (বিশেষ করে আর্থিক বিষয়ে) স্বচ্ছতা না থাকে এবং জনগোষ্ঠীর সকল সদস্যদের মাঝে তা পরিষ্কার করা না হয়। জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্পন্ন সুবিধাদি হলে ও, কৌশল এবং সমবেতকারীর উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগোষ্ঠীর সামর্থ্য এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, তাই তদারকি এবং প্রতিবেদন প্রদান (মৌখিক এবং লিখিত) এর উপর গুরূত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়াও, যেক্ষেত্রে জনগোষ্ঠী কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রশিক্ষণ সম্পর্কে অধিকতর সচেতন হয়, এবং যেখানে, আবার, কৌশলের বি উপাদান সমবেতকরণ চক্রের সাথে অবশ্যই নিহিত থাকতে হয়। তদারকি এবং প্রতিবেদন প্রদান: তদারকি এবং প্রতিবেদন প্রদান করার উদ্দেশ্য কার্যাবলীসমূহকে খাপ খাওয়ানো এবং বিপথ এড়ানো অবলোকন করা হলেও, এটি পরবর্তীতে অধিকতর গভীর যাচাই এবং মূল্যায়ন দ্বারা সম্পূরক হবে। এর অর্ন্তভূক্ত হয় কাজের প্রভাব যাচাই, এবং তা কিভাবে পরিচালিত হয়, এবং এর পরিবর্তে কিভাবে পরিকল্পনা করা যায় সে সম্পর্কে মূল্যবান বিবেচনা করা। ফলশ্রƒতিতে তা চক্রের পুনরাবৃত্তির দ্বার উন্মোচন করে, কারণ তা প্রাথমিক অবস্থা বিশ্লেষণ এবং জনগোষ্ঠীর যাচাইয়ের একই উদ্দেশ্য পূরণ করে। পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদান: বাহিরের তহবিল জনগোষ্ঠীর নির্বাহীকে প্রদান স্তরভিত্তিক হবে, এবং প্রতি স্তরে সম্পন্নকৃত কাজের উপর নির্ভরশীল হবে। যদিও তা ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই (সি.এম.পি. উগান্ডা), এটি এক ধরনের বীমা, যাতে কাজটি (বা প্রতিবেদন প্রদান) যদি বাতিল হয়, অর্থ ও প্রদান করা হবে না। সম্পন্ন না করা পর্যন্ত কাজ চলতে থাকবে: যখন কাজটি চলতে থাকে, সমবেতকারীর নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে যে, তদারকি করা হয়েছে (বিশেষভাবে জনগোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারা এবং অন্য কোন সুবিধাভোগীর দ্বারা)। বিশেষভাবে অর্থের পরিমান এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বচ্ছতা জনগোষ্ঠীর তাদের নির্বাহীদের সম্পর্কে আগ্রহ এবং আস্থা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। বাহিরের অর্থ প্রদানকারী সংস্থাসমূহ দ্বারা পরবর্তীতে অর্থ প্রদান জনগোষ্ঠীর প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীলদের দায়বদ্ধতা (বর্ণনামূলক এবং আর্থিক) এবং স্বচ্ছতা, সততা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং চারিত্রিক শুদ্ধতা বজায় রাখার উপর নির্ভরশীল। আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন অনুষ্ঠান: কোন অনুষ্ঠান বা উৎসব অধিকাংশ মানুষের জন্য বিশেষ ছুটির দিন হলেও, সমবেতকারীর জন্য তা কঠিন কাজ। উপরে বর্ণিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে, আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন অনুষ্ঠানটি জনগনের মাঝে প্রচারের, জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং প্রজেক্ট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এবং বৈধতা এবং জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার একটি সুযোগ। সংবাদ মাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক বিনোদনে পরিপূর্ণ আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন অনুষ্ঠান, জনগোষ্ঠীদের সদস্যদের সম্পন্নকৃত প্রজেক্ট সম্পর্কে মূল্যায়ন করা স্মরন করিয়ে দেয়ার এবং তাদের পরবর্তী অগ্রাধিকার নির্ধারণ করার, সমবেতকরণ চক্রের পুনরাবৃত্তি শুরূ করার একটি সুযোগ। চক্রের পুনরাবৃত্তি: এটি চুড়ান্ত কোন পদক্ষেপ নয়। এটি সমাজ পরিবর্তনের (উন্নয়ন) একটি প্রক্রিয়া এবং তা টেকসই হতে হয়। প্রথম চক্র প্রয়োগের পরে যখন জনগোষ্ঠীর উচ্চস্তরের ক্ষমতায়ন হবে, তা আবার শুরূ করা দরকার। অধিকন্তু, সমবেতকারীর সাময়িক ত্যাগের ক্ষেত্রে পরিবর্তিতকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে, এবং সমবেতকারীদের দলের জনগোষ্ঠীর মাঝখান থেকে আভ্যন্তরীন সমবেতকারীদের চিহ্নিত করা উচিত, (যারা জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির টাকা দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য সমবেতকরণ কৌশল ব্যবহার করবে না) যারা সমবেতকারীদের সংস্থা বা মন্ত্রণালয় চলে যাওয়ার পরে উৎসাহ এবং মধ্যবর্তী ঘটনাসমূহ বজায় রাখতে সক্ষম হবে। সমবেতকরণ চক্রের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ এর পুর্ববর্তী এবং পরবর্তীটির সাথে এবং সামগ্রিকভাবে চক্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত। পদক্ষেপসমূহের একটি যৌক্তিক এবং ব্যবহারিক ক্রম রয়েছে। যতবার চক্রটির পুনরাবৃত্তি হবে, তা করা হবে পূর্ববর্তী চক্রে করা যাচাইয়ের ভিত্তিতে, এবং ইতোঃমধ্যে সংগঠিত সুদৃঢ়করণ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যান্য মধ্যবর্তী ঘটনাসমূহ: নিম্নলিখিত মধ্যবর্তী ঘটনাসমূহ ও সমবেতকরণ কৌশলের অংশ, কিন্তু সমবেতকরণ চক্রের বিভিন্ন বিন্দুতে বসানো যেতে পারে। জ্ঞান থাকলে এবং সমাজের পরিবর্তনশীল অবস্থার প্রতি স্পর্শকাতর হলে সমবেতকারী তা নির্দিষ্ট করতে পারে। কোন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সমবেতকরণের উদ্দেশ্য এলাকা থেকে এলাকায় তারতম্য হতে পারে। তারপরও, সাধারণ উপাদানসমূহ হচ্ছে: দারিদ্র দূরীকরণ, সুশাসন, সামাজিক সংগঠনে পরিবর্তন (উন্নয়ন), জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিচু আয় বা প্রান্ত রেখার আয়ের লোকদের ক্ষমতায়ন, এবং লিঙ্গগত ভারসাম্য।
––»«––সমবেতকরন চক্রের ব্যাখ্যাসহ লেখা পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনার জন্য দেখুন, পাওয়ার. © কপি রাইট ১৯৬৭, ১৯৮৭, ২০০৭ ফিল বার্টল
––»«–– |
হোম পেজ |
সমবেতকরন |