অংশগ্রহনই
ক্ষমতায়নের চাবিকাঠি
মূল: বেন
ফ্লেমিং
সম্পাদনা
: ফিল
বার্টেল ,পি.এইচ.
ডি
অনুবাদ:
শামানা ইয়াসমীন
সকল
সময় অংশগ্রহণ ক্ষমতায়ন পর্যন্ত
গিয়ে পৌঁছে না | এর দরকার একটি সহয়ক
পরিবেশ যা কিনা মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা
ও দক্ষতাকে প্রতিপালন করে ক্ষমতায়নের
লক্ষে পৌছাতে পারে | আর এটি অর্জন
করার কিছু উপায় হচ্ছে :
- মানুষকে
নিচু চোখে না দেখা|জটিলতা মোকাবেলায়
তাদেরকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ
করা এবং জটিলতা থেকে তাদের কখনই
আগলিয়ে না রাখা|
- বিষয়
গুলোকে ছোটো ছোটো ভাগে বিভক্ত করা|
- লোকেদের
নিজস্ব উদ্বেগের বিষয়গুলো এবং তাদের
সম্পর্কিত বিষয়গুলো দিয়ে প্রথমে
শুরু করা |
- প্রথমে
শুরুতেই আপনার নিজস্ব ধারণা এবং
সমাধানগুলো চাপিয়া দিবেন না|
- বাছাই
জন্য যে বিষয়গুলো আছে তা সম্পর্কে
সুস্পষ্ট ধারণা দিন এনং প্রত্যেকটি
বিষয়ের নিহিতার্থ বুঝিয়ে দিন|
- তাদের
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে তাদের
গোড়ার দিকের সফলতা গুলোকে বিভিন্ন
মাধমে দৃষ্টিগোচর করে তুলতে হবে|
- |"সোপান"
দক্ষতা ,ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বস্ততা
এবং এই ব্যবস্থাই প্রতিশুত থাকা:
প্রগতিশীল এবং বিভিন্ন মাত্রার
অন্তর্ভুক্তি করনের উপায় পেশ করা|অংশগ্রহনকারীদের
মই এর উপরের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য
করা|
- অংশগ্রহন্কারিদেরকে
সরাসরি ক্ষমতায়ন প্রশিক্ষণ দেবার
চেয়ে দক্ষতার বিকাশ পদ্ধতির অংশও
হিসেবে জৈবিক ভাবে ঘটাই বেশি উত্তম|
- যথা
সম্ভব ব্যপক ও অপরিবর্তনীয় সমাধান
বর্জন করা উচিত | ক্ষুদ্র ,দ্রুত এবং
পুনরাবৃত্তি চালক ও গবেষণা সম্বলিত
পুনরাবৃত্তিকর চালু করা|
- প্রতিনিয়ত
সদস্যপদ বৃদ্ধি করা এবং পর্যালোচনা
করা;কারণ যখন নতুন অগ্রোহী দল আসবে
তারা যেনো একীভূত হতে পারে|
- লোকেদের
জটিল ও দুরূহ সিদ্ধান্ত নেবার পদ্ধতিটি
বুঝতে হবে ,যদিও এটি অর্পিত ক্ষমতার
বাইরে কিন্তু এটি ফলাফলকে প্রভাবিত
করে |
- নতুন
যোগাযোগ এবং বন্ধু তৈরি করতে হবে
|
- পরিকল্পনা
হতে হবে অর্থপূর্ণ ও কার্যকরি যাতে
লক্ষ্য অর্জিত হয়|
- বিভিইন্ন
স্বার্থসংশ্লিষ্ট দলের নিজস্ব
দক্ষতা সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি,জনগনের
প্রতি জবাবদিহিতা এবং এই সকলের নিয়ন্ত্রণ
ও কার্যকরী করনের মাঝের সংযোগকে
পরিচালনা করতে হবে|
- মূল্যায়ন
এবং গভীর ভাবে চিন্তা করার জন্য
সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে|
- লোকেরা
আনন্দ পাচ্ছে এইটা নিশ্চিত করতে
হবে!(উত্স : দ্যা গাইড তু ইফেক্টিভ
পার্টিচিপাসন,ডেভিড উইলকক্স)
অংশগ্রহণ
সম্পর্কিত দশটি মূল ধরনা
১
.অংশগ্রহনের মাত্রাগুলি/পর্যায়গুলি
শেরি
অর্ন্স্তেইন বর্ণিত অংশগ্রহনের
মইটি আটটি ধাপ বিশিষ্ট| সংক্ষিপ্তভাবে
এগুলো হলো : ১ ) নিপুনভাবে পরিচালনা
করা| ২) মনোবিশ্লেষণ| যা অংশগ্রহনমূলক
নয় ,এটির কাজ হলো অংশগ্রহনকারীদের
নিরাময় করা এবং শিক্ষা দেয়া|প্রস্তাবিত
পরিকল্পনাটি সবচেয়ে ভালো এবং অংশগ্রঘনের
কাজটিতে জনসমর্থন অর্জন করতে হলে
জনগনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে
হয় |৩) তথ্য সরবরাহ করা |এটি অংশগ্রহণকে
নিয়ন্সম্মত করার অতি গুরুত্বপূর্ণ
প্রথম ধাপ|কিন্তু সবসময় জোড় দিতে
হবে এক মুখী তথ্য সরবরাহের দিকে|
ফলাফল সম্পর্কিত পরামর্শ জানার
কোনো পথ থাকা লাগবে না |৪) পরামর্শ
প্রদান| মনোভাব জরিপ,প্রতিবেশীদের
নিয়া মিটিং এবং জন সাধারণের পরশের
জবাব দেয়া|কিন্তু একটি উনিন্ড ড্রেসিং
(জানালা সাজসজ্জা) অনুষ্টান বা রীতি
চালু রাখা| ৫) প্রশমন করা|ভোটের মাদ্যমে
সতর্কতার সাথে মূল্যবান ব্যক্তিবর্গকে
বাছাই করে কমিটির অতিরিক্ত সদস্যপদে
মনোনয়ন দেয়া| ৬)অংশীদারিত্ব |নাগরিক
এবং ক্ষমতাবানদের মাঝে মধ্যস্ততার
মাধ্যমে নতুনভাবে ক্ষমতা বিভাজন
করে দেয়া|পরিকল্পনা এবং সিদ্ধাত
নেবার দায়িত্ব তারা ভাগাভাগি করে
নেবেন| ৭) অর্পিত ক্ষমতা| কমতির সংখ্যাগরিষ্ট
অর্পিত ক্ষমতা সম্পন্ন নাগরিকগণ
সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা রাখেন| জনগণ
এভাবে কর্মসূচির জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের
ক্ষমতা পেল| ৮) নাগরিক নিয়ন্ত্রণ|
বিত্তহীন ব্যক্তিবর্গ কাজটির সমগ্রিক
পরিকল্পনা ও কৌশল তৈরি করবেন এবং
তারাই কার্যকমটির/প্রোগ্রামটির
ব্যবস্থাপনা করবেন|
২.
অবগত করানো এবং প্রক্রিয়া
অংশগ্রহণ
আকস্মিকভাবে ঘটতে শুরু করে না, জনগনকে
প্রথমে এটি সম্পর্কে অবগত করে পরিচিত
করাতে হয়| আর পর কেউ একজন একটি প্রক্রিয়ার
ব্যবস্থা করবেন এবং এই কার্যক্রম
নিয়ন্ত্রের জন্য অন্যদের অন্তর্ভুক্ত
করবেন|প্রক্রিয়াটি চারটি পর্যায়
ব্যাপি বিন্যস্ত্ত: অবগত করানো,
প্রস্তুতিপর্ব, অংশগ্রহণ পর্ব, এবং
অবিরাম চালু থাকা পর্যায়|
৩.
নিয়ন্ত্রণ
কতটুকু
নিয়ন্ত্রণ দরকার এই সিদ্ধান্ত নেবার
জন্য শক্ত অবস্থানে আছেন প্রবর্তনকারী|এই
সিদ্ধান্ত নেয়া মই এর একটি ধাপে
আসন গ্রহণ করার সোমোকোক্ষ বা অংশগ্রহনের
মাত্র সম্পর্কে দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ
করার সমান|
৪.
ক্ষমতা এবং অভিষ্ট লক্ষ্য
অংশগ্রহনের
ধারনার মাঝে ক্ষমতার ধারনাও নিহিত
আছে.আগ্রহী মহলের নিজ নিজ লক্ষ অর্জনের
ক্ষমতা নিভর করে তথ্য ও অর্থের উপর.ক্ষমতা
আরো নিভর করে সেসকল লোকের উপর যাদের
আছে আত্ববিশ্বাস ও দক্ষতা.নিয়ন্ত্রনহীনতার
ভযে অনেক প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়া়ে
অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে. যদিও
এমন অনেক অবস্থা রয়েছে যেখানে একা
কাজ করার থেকে সম্বলিতভাবে কাজ করলে
বেশি অর্জন করা সম্ভব.এগুলা অংশগ্রহনের
সুফলাতাকে উপস্থাপন করে.
সুবিধাদাতার
ভুমিকা:
সুবিধাদাতারা
যা কিছু ঘটে তার অধিকাংশই নিয়ন্ত্রণ
করেন. তাদের ভুমিকা সম্পর্কে তাদের
প্রতিনিয়ত চিন্তা করা খুবই জরুরি.
অংশীদারী
বক্তি এবং গোষ্ঠী:
অংশীদারী
বক্তি হলেন সেই বক্তি যার যে কোনো
অবস্থাতেই ঝুকি বহন করতে হয়, যাকে
যেকোনো প্রজেক্ট প্রভাবিত করে, যে
প্রয়োজনীয় তথ্য, দক্ষতা ও অর্থ সস্বরাহ
করবে.যে সাহায্য করবে আবার যার নিষেধ
করার ক্ষমতাও থাকবে.প্রভাবিত সকলের
মোট প্রকাশের ক্ষমতা থাকবে না.মইকে
বেবহার করে চিন্তা করুন কার সবচেয়ে
বেশি প্রভাব রয়েছে.
অংশগ্রহণকারী
গোষ্ঠীটি প্রজেক্টের উপর নিভরশীল
কারণ বিভিন্ন লোক বিভিন্ন বিষয়ে
আগ্রহী
অংশিদারিত্ব
কোন
একটা সার্বজনীন লক্ষ অন্জনের জন্য
যখন বিভিন্ন অগ্রহিমহল আনুষ্ঠানিক
বা অনানুষ্ঠানিক ভাবে একত্রিত হে
তখনি অংশিদারিত্ব কার্যকরী হয়. অংশীদার
বাক্তিরা দক্ষতা, অর্থে ও আত্মবিশ্বাসে
সমকক্ষ নাও হতে পারেন কিন্তু তাদেরকে
পরস্পর কে বিশ্বাস করতে হবে এবং
কিছু প্রতিশ্রুতি ভাগাভাগি করে
নিতে হবে.বিশ্বাস তৈরির জন্য কিছু
সময়ের প্রয়োজন.
প্রতিশ্রুতি:
প্রতিশ্রুতি
অনীহার ওপর পিঠ| প্রতিশুতিবদ্ধ মানুষ
কিছু অর্জন করতে চায়, উদাসীন মানুষ
তা চায় না|কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কি
প্রতিশ্রুতির পথে এগিয়া নিয়ে যায়?শুধুমাত্র
জনগনকে " আপনাদের মনোযোগী হতে হবে|"
এই স্লোগান দেয়া অথবা সভা সমাবেশে
আমন্ত্রণ জানানো কিংবা চকচকে লিফলেট
চরালেই এই লক্ষ্যে পৌছানো যায় না|
মানুষ সে বিষয়েই আগ্রহী হয় সে বিষয়ে
সে আগ্রহী হয় এবং যখন তারা উপলব্ধি
করতে পারে যে এর থেকে লাভবান হবে,
তখনি তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়| আগ্রাসী
বিক্রয় পদ্ধতি দিয়ে এটি অজিত হয়
না| যদি তারা আপনার প্রস্তাবের প্রতি
অগ্রোগী না হয় তবে এটা হয়তো এই কারণে
যে তারা হয়তো আপনার মনোযোগের বিষয়টির
প্রতি সমান আগ্রহ বোধ করছে না|
ধারণার
মালিকানা:
সাধারণত
মানুষ সেই ধারণার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
হয় এবং সম্পাদন করে , যে ধারনায় তাদের
একটি অংশও আছে,অথবা তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
করে এগিয়ে নিতে "আমরা এটা ভাবছি "
এই রকম বলার সুযোগ দিতে হবে |এটির
অভ্যাস করা অর্থ হলো সকলের অভিমত
ও পরামর্শের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধান
করা;এই লক্ষ্যে ওয়ার্কসপ চালাতে
হবে ,যে কোনো ফলাফল নিয়ে অন্যদের
সাথে মধ্যস্থতা করতে হবে,অভাবে এটি
যথা সম্ভব লোকের সমর্থন লাভ করতে
পারবে|অংশীদারী ব্যক্তিদের ধারণা
এবং ফলাফলের সাথে সরাসরি সঙ্গতিপূর্ণ|
আত্ববিশ্বাস
এবং কর্মক্ষমতা :
ধারনাকে
কর্মে পরিনত করা নির্ভর করে লোকদের
আত্ববিশ্বাস ও দক্ষতার উপর. নতুন
ভিত্তি তৈরী করা এই অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার
অন্তর্ভুক্ত| এটা খুবই বাস্তব বর্জিত
হবে যদি আশা করা হয় যে কোনো ব্যক্তি
বা ছোটো গোষ্ঠী হঠাত করে জটিল সিধান্ত
নেবার দক্ষতার অজর্ন করবে এবং মূল
প্রজেক্টের অংশ নিবে.তাদের পরস্পরের
ও নিজেদের প্রতি আত্ববিশ্বাসী করে
তুলতে প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক
অথবা ট্রেনিং দরকার|
এই
রচনার উত্স হচ্ছে দা গাইড অফ এফেক্টিভ
পার্তিসিপাসন http://www.partnerships.org.uk/guide/index.htm
© কপি রাইট ১৯৬৭, ১৯৮৭, ২০০৭ ফিল বার্টল ওয়েব ডিজাইন লুসে সাদা
––»«––শেষ আপডেটঃ ০৯.০২.২০১১
|