অংশগ্রহনের মাধ্যমে মাননির্ণয় প্রক্রিয়ায় আনন্দ বন্টন
নেপাল
মূল: কামাল ফুয়াল
অনুবাদ : সামানা ইয়াসমীন
|
|
"ট্রেনিং
এ অংশগ্রহনকারীরা ট্রেনিং এর পাঠ্য
বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হন না বরং
তারা ট্রেনিং প্রশিক্ষকের ব্যাবহার
পর্যবেক্ষণ করেন যে , তাদের ব্যবহার
তাদের শিক্ষাপদ্ধতির বা ক্লাসরুমে
তাদের কথার সাথে মিলছে কিনা . অধিকন্তু
অংশগ্রহণকারীরা তখনি তাদের জ্ঞানকে
কর্মে পরিনত করে যখন তারা প্রশিক্ষকের
কার্যত ব্যবহার দ্বারা সুনিশিত
হয় ." (জনাব.উত্তম
ঢাকওয়া ,শেয়ারিং ফোরাম এন্ড ডেভেলপমেন্ট
)
কেন
এই অংশগ্রহনের প্রয়োগ ?এই প্রশ্ন
উঠেছে বিভিন্ন ট্রেনিং , ওয়ার্কসপ
এবং ফোরামে.আমার অভিজ্ঞতায় আমি অংশগ্রহনের
তিনটি প্রধান গঠনগত উপাদান লক্ষ্য
করেছি , মনোভাব এবং ব্যবহার , মতবাদ
বা দর্শন ,প্রণালী (সরঞ্জাম ব্যবহারের
) দক্ষতা ,তৃতীয় দিকটি অপত দৃষ্টিতে
সবচেয়ে সুস্পষ্ট যা কিভাবে এর সরঞ্জাম
ব্যবহার করতে হবে এই নিয়ে কাজ করে.
কথিত আছে যে অধিকাংশ ট্রেনিংই এই
দিকটি তেই ফোকাস করে. অংশগ্রহনের
ইতিহাস দিয়ে ট্রেনিং শুরু হয় এবং
সরঞ্জামের প্রয়োগ দিয়ে ট্রেনিং
শেষ হয়.
অংশগ্রহনে
কাদের ব্যবহার করা উচিত এবং অ.মু
.প্র (অংশগ্রহনের মাধ্যমে মূল্যায়ন
প্রক্রিয়া) য় অনুশিলোন্কারীদের
কি কি বৈশিষ্ট থাকা দরকার এই প্রশ্নগুলি
নিয়ে প্রথম উপাদান কাজ করে. দ্বিতীয়
উপাদানের মনোযোগের বিষয় হচ্ছে নিম্মোক্ত
বিষয়গুলো ,কেন অন্যকিছু ব্যবহার
না করে এই অংশগ্রহণকে ব্যবহার করা
?অংশগ্রহনের নীতিগুলি কি ?তৃতীয়
উপাদানের লক্ষ্য এর সরঞ্জাম কে কি
ভাবে কার্যকরী ভাবে ব্যবহার করা
যাই ? এবং এর প্রয়োগের পদ্ধতি কি ?
প্রশিক্ষকের
ব্যবহারের উপর স্থানীয় লোকের অংশগ্রহণ
নির্ভর করে.
উন্নয়ন
মানে আনন্দ বন্টন করে নেয়া
একবার
আমার সহ কর্মী আমাকে বলল ,"তুমি কি
যেন অগ্রসরতা মানে কি?""আমার অভিজ্ঞতায়
এটি মানে অন্য দের সাথে আনন্দ ভাগ
করে নেয়া."তার দেখা বিভিন্ন ঘটনা
দিয়ে সে উদহারন দিল.তার উন্নয়নের
ধারনাটি আমার পছন্দ হলো.
অনেক
উন্নয়ন কার্যক্রমে যাবার আমার সুযোগ
হয়েছিল .এইগুলির কোন কোনটি লাখ লাখ
রুপি খরচ করে তৈরী হচ্ছে ,আবার কোনো
কোনটিতে মাত্র হাজার রুপি ব্যায়
হচ্ছে. কাঠমুন্ড থেকে ২০০ কিলোমিটার
দুরে পোখরার একটি গ্রামে আমার একবার
যাবার সুযোগ হয়েছিল সেখানে আমাদের
ভালো সময় কেটেছে গ্রামবাসীর সাথে
, তাদের সাথে আমরা অনেক কিছু ভাগাভাগি
করতে পেরেছি.আমরা অনেক আলোচনা করেছি
তাদের সাথে.তারা আমাদের তাদের গ্রামে
পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল .অর্থনৈতিক
দিক থেকে এটি ছিল একটি খুবই ছোটো
প্রজেক্ট ,সরকারী জল বিভাজিকা জেলা
অফিস এবং জাপানি একটি কোম্পানি একত্রে
এই প্রজেক্টটি করছিল.তারা এই প্রজেক্ট
সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৩৫০০০ রুপি
খরচ করেছে.একজন মহিলা অংশগ্রহণকারী
এই প্রজেক্ট টি বিশ্লেষণ করেছেন
আমাদের মতবিনিময়ের সময়:
একজন
দিদি আমাদের গ্রামে কাজ করতে আসতেন.
আমরা তাকে দীর্ঘদিন যাবত পাত্তা
দিতাম না. গ্রামবাসীরা তাকে ফিরে
যেতেও বলেছিল (কারণ পূর্বের উন্নয়নকারীদের
সম্পর্কে তাদের খারাপ অভিজ্ঞতা
ছিল).কিন্তু অপরদিকে , তিনি আমাদের
সমস্যা নিয়ে সারা রাত চিন্তা করতেন
.তিনি অনেক ভালো ছিলেন .পরিনামে আমরা
তাকে পছন্দ করতাম এবং একত্রে কাজ
করে অনেক কাজ সম্পন্ন করতাম .এখন
আমাদের নিজস্ব সহযোগীরা আছেন.আমরা
স্বাক্ষরতা ক্লাস ও করেছিলাম তার
সাথে আমাদের খুব ভালো একটা সময় কেটেছে
.একত্রে কাজ করার সময় আমরা অনেক আনন্দ
উপভোগ করতাম.আমরা আমাদের পুরো কাজ
খুব আনন্দের সাথে শেষ করেছি.এখনো
আমরা ওই সব দিন গুলি মনে করে উত্তেজনা
অনুভব করি .আমরা আমাদের প্রজেক্টটি
কে অনেক পছন্দ করতাম এবং আমরা কখনই
তার সাথে কাজ করার স্মৃতিকে মুছে
যেতে দিব না.
ওই
গ্রামবাসীরা ওই প্রতিষ্ঠানের নাম
পর্যন্ত ভালোভাবে উচ্চারণ করতে
পারে না ,কিন্তু একটি জিনিস তারা
বার বার বলেছে যে ,তারা উন্নয়ন কর্মী
বিকাশে দিদির সাথে কাজ করে খুবই
খুশি. দুর্ভাগ্য এই যে আমাদের সেই
দিদির সাথে দেখা হই নি.কিন্তু যখন
তার সম্পর্কে মত বিনিময় করছিলাম
, আমরা জানতে পেরেছি যে ,তিনি গ্রামের
মহিলাদের সাথে কাজ করতে খুবই আনন্দ
বোধ করতেন ,আমরা আরো জেনেছি যে , তার
এক মাত্র লক্ষ্য ছিল সকলের মাঝে
আনন্দ ভাগ করে দেয়া ,গ্রামবাসীরা
এবং দিদি তাদের আনন্দ ভাগাভাগি করে
নিতেন.খাবাব পানির প্রজেক্ট টি ছিল
তাদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবার
একটি পথ মাত্র. এই আনন্দই প্রজেক্টটিতে
সাফল্য বয়ে এনেছে.গ্রামবাসীরা এই
প্রজেচ্ত্তিতে কত অর্থ ব্যয় হয়েছে
তা মোটেও গ্রায্য করে না এবং মনেও
রাখে নাই.পুরো মূল্যায়ন পর্বে তারা
তাদের ওই সময়ের কাজের আনন্দর কথায়
স্মরণ করেছে ,সেই আনন্দই তাদের উত্সাহিত
করেছ আরো অন্যান্য কাজ করতে .এখন
তাদের নিজস্ব সহকর্মী রয়েছে,গ্রামের
মহিলাদের নিয়ে তারা তাদের নিজস্ব
রক্ষনাবেক্ষণ কমিটি গঠন করেছে."আমোরা
একটি দোল থাকায় আমরা খুবই খুশি ,আমরা
যেখানে যাই আমাদের সমস্যা নিয়ে মত
বিনিময় করি এবং আমাদের আনন্দ ,সুক
ভাগ করে নিতে পারি ." তারা বলে.
উত্তর
কাঠমুন্ডর নোওয়াকট জেলায় একাধিক
প্রতিয়াথান মীয়লে ১.৫ মিলিয়ন রুপি
ব্যয় করে একটি গ্রামের খাবার পানির
একটি প্রজেক্ট করেছিল.যদিও একটি
গ্রাম উন্নয়ন কমিটি যাতে ৮০০ পরিবার
অন্তর্ভুক্ত আছে ,তারা তাদের সরকার
থেকে বাত্সরিক বাজেটের মাত্র ৫ লাখ
রুপি পায়. এখানেও গ্রামবাসী এবং
প্রজেক্ট কর্মীদের মাঝে বিরাট দন্দ্ব
দেখা দেয়.গ্রামবাসীরা এই প্রজেক্টটিতে
খুশি ছিল না যদিও তাদের অনেকদুর
থেকে পানি বয়ে আনার সমস্যার সমাধান
হয়েছে এই প্রজেক্টের মাধ্যমে .প্রজেক্টটির
মূল্যায়ন কালে গ্রামবাসীরা বলেন,
প্রজেক্টটির
নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে অথচ
আমরা প্রজেক্ট কর্মীদের পর্যন্ত
চিনি না.তারা তাদের কর্মীদের সারাক্ষণ
পরিবর্তন করত.আমরা একই ব্যক্তিকে
দ্বিতীয়বার গ্রামে দেখি নাই.আমরা
এটি কে আমাদের প্রজেক্ট মনে করি
না.আমরা শুনেছিলাম, তারা একটি কর্মীদল
গঠন করেছিল.আমরা তাদেরকে চিনি না
, হয়ত তারা রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে
দল তৈরী করেছে. কর্মীদের এখানে কোনো
অফিচ ছিলনা , এমনকি তাদের এখানে কোনো
স্থায়ী থাকার জায়গাও ছিল না .বেশিরভাগ
সময় তারা সাইট পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের
যানবাহনে চরে কাঠমুন্ড বা ত্রিশুলি
জেলা সদর দফতরে চলে যেতেন.পার্শ্ব
বর্তী একটি গ্রামের টিকাদার রা নির্মান
কাজের দায়িত্ব নেই. আমরা একবার তাদের
কর্মীদের সাথে কথা বলতে যাই , কিন্তু
তারা আমাদের সাথে কথা বলে খুশি মনে
হলো.
গ্রামবাসীরা
নিকটবর্তী জরনা থেকে পানি বয়ে নিয়ে
আস্ত এবং তারা এটা এভাবেই সামনের
সময়ে কাটিয়ে দিতে পারত. গ্রামবাসীদের
তাদের ইচ্ছা এবং ভাবনা সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হই নি. এটা পরিকল্পনা
করেছেন বহিরাগতরা এবং এটা সমর্থন
করেছেন মানুষ যারা নিজেরা কখনো পানি
সমস্যায় পরে নাই. প্রজেক্টের খুব
গড়ার দিকে এই গ্রামে প্রজেক্ট শুরু
হবার সময় থেকেই প্রজেক্ট কর্মী এবং
গ্রামবাসীদের মধ্যকার দুরুত্ব
বৃদ্ধি পেতে শুরু করে.কর্মীরা এই
প্রজেক্টটিকে কেবলমাত্র তাদের
কাজের অংশ ভাবত.তারা গ্রামবাসীদের
সাথে কথোপকথনের জন্য সময় দিতে প্রস্তুত
ছিল না.যদি তারা গ্রামবাসীদের সাথে
কথায় না বলেন ,তাহলে তারা আনন্দ ভাগ
করবেন কিভাবে?
জনগনের
অংশগ্রহনের মাধ্যমে অনেক কাজ সম্পন্ন
হবার অনেক গল্প আমাদের ইতিহাসে আছে.আমরা
দেখেছি জনগণ তৈরী করেছে অনেক মন্দির,
রাস্তা, খনন করেছে কুয়া, পুকুর,তৈরী
করেছে স্কুল এবং আরো অনেক কিছু.তারা
এই সব কাজ এমন আনন্দ নিয়ে করেছে যেন
কোনো উত্সব উদযাপন করছেন.যদি আপনি
বিশ্লেষণ করতে যান তাহলে দেখবেন
যে,এই সবের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আনন্দ
ভাগ করে নেয়া.তারা একসাথে গান গাই,
একসাথে সমাজ কল্যাণের কাজ করেন,অনুষ্ঠানে
খাবার ভাগাভাগি করে খান, হাসেন,এবং
উপভোগ করেন কাজের সময়টি .এই ভাবেই
তারা কাজ সম্পন্ন করেন.তারা তাদের
খুশি ভাগ করে নেই , একে অপরকে কিছু
আদানপ্রদানের মধ্য দিয়ে.
একবার
একটি বড় প্রতিষ্ঠান আমার সহকর্মীকে
একটি কাজের প্রস্তাব দেয়. সে অনেক
চিন্তা ভাবনা করলো ,সকলের সাথে আলোচনা
এবং সেই কাজের প্রস্তাবটি ফিরিয়ে
দেয়.সে বলল ,
"
আমি নিশ্চিত নই আমি এই রকম 'আনন্দ
ঘন পরিবেশ ' আমার নতুন কাজে পাব কিনা.আমি
এখানে আমার সহকর্মীদের সাথে কাজ
করে আনন্দিত.তাদের সাথে আমি আমার
আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি.এই
কাজ আমি উপভিগ করি.হ্যা ,এটা সত্যি
যে তারা আমাকে দ্বিগুন পারিশ্রমিক
এবং সুবিধা দিবেন কিন্তু আমি আমার
আনন্দ হারিয়ে ফেলার ভয়ে সংকিত."
অংশগ্রহনের
মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ে (অ মু
প্র )আনন্দ বন্টন
অংশগ্রহণ
মূলক ট্রেনিং কে একগেয়েমিপূর্ণ
হতে আমরা এই পর্যন্ত দেখি নাই .আমি
৬০ টি অ.মু.প্র রিপোর্ট পর্যালোচনা
করেছি.ত্রেনিন্গের শেষের মূল্যায়নপর্ব
যা অংশগ্রহণ কারীদের দ্বারা সম্পন্ন
হয়ে থাকে ,তা নিয়ে আমি অংশগ্রহণকারীদের
সাথে আলোচনা করেছি.আমি অ.মু.প্র.সম্পর্কে
একটি রিপোর্টেও পাই নি যে এটি একগেয়েমিপূর্ণ
ক্লান্তিকর.আপনি সেখানে দেখতে পাবেন
তারা বলেছে,"দশদিন দশ মিনিটের মত
কেটেছে ."" সিক্খাপদ্ধতি ছিল একটি
খেলার মত ." " আমাদের একগেয়ে লাগে নি."
"আমরা অনেক হেসেছি." "আমরা অনেক কিছু
আদান প্রদান করেছি."অংশগ্রহনের মাধ্যেমে
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ে যা সেখা যাই
তা অন্য ভাবেও সেখা সম্ভব. কিন্তু
আমার অভিজ্ঞতায় অংশগ্রহনের মাধ্যেমে
মূল্যায়নের প্রধান নীতি হচ্ছে আনন্দ
ভাগ করে নেবার সুন্দর পরিবেশ তৈরী
করা. অংশগ্রহণকারীরা কোনো রকম শ্রেণী
বিভেদ এখানে অনুভব করেন না তারা
কোনো অসমতা (আর্থ -সামাজিক,জাত, লিঙ্গ
গত )বোধ করেন না.তারা হাসেন,শিখেন
এবং পরস্পরের সাথে ভাগ করে নেন .আনন্দ
ভাগাভাগির কারণে তাদের মধ্যে একটি
অনুভুতির সম্পর্ক তৈরী হই যা এই
ট্রেনিং বা সংঘর পরিসেশ প্রাপ্তি.
"জানেন,
সামাজিক মানচিত্র তৈরী করার সময়
গ্রামবাসীরা পাথর সরিয়ে কাঠি দিয়ে
ঘর বানিয়ে ছিল.প্রথম ১৫ মিনিট তাদের
মনে হয়েছিল যে তারা গ্রামের মানচিত্র
বা নকল মানচিত্র তৈরী করছে.তারপর
তারা তা ভুলে গেল তারা খেলা করতে
লাগলো পাথর এবং অন্যান্য আঞ্চলিক
উপকরণ দিয়ে. তারা তাদের বাস্তব জীবনে
ফিরে গেল.তারা চিত্কার করলো ,হাসলো,
মন খুলে কথা বলল,এবং কখনো কখনো রাগ
করলো.এইভাবেই ১৫ মিনিট পর তারা দুকে
পড়ল সরাসরি আলোচনায় এবং বিশ্লেষণে
এইভাবেই আমি বুঝলাম আনন্দ ভাগাভাগি
শুরু হলো. যখন পোশাকি সময়ের শেষে
আনন্দ ভাগাভাগি শুরু হয় তখন অন্যান্য
গ্রামবাসীরা যারা পাশে দাড়িয়ে ছিল
তারাও কাজে অংশগ্রন করে,এমনকি অশিক্ষিত
প্রান্তীয় মানুষ যারা সকলের সামনে
কথা বলতে সংকোচ বোধ করত তারাও অংশগ্রহণ
করতে শুরু করে.আনন্দ , সুখ ভাগ করে
নেয়া প্রনালিটিকে সহজতর করে." একজন
অ.মু.প্র (অংশগ্রহনের মাধ্যমে মূল্যায়ন
প্রক্রিয়া) র শিক্ষক বলেন.
,"সুখ
ভাগ করে নেয়া" ব্যতিত অ.মু.প্র হয়ে
পরত একগেয়েমিপূর্ণ প্রায়োগিক বিদ্যা.এটা
বিপদজনক হয়ে পরত .কাঠমুন্ড র প্রতিবেশী
ধারং জেলার ভি .ডি. সি প্রধান তার
দেখা অ.মু.প্র দলকে এইভাবে ব্যাখ্যা
করেন:
"একদল
অ.মু.প্র অংশগ্রহণকারী এগিয়ে আসলো
চার পাচজন কুলির মাথায় তাদের খাবার
এবং থাকার সামগ্রী নিয়ে.তারা গ্রামে
পৌছল ,কিছু সংখ্যক গেল মুরগি খুজতে,কেউ
গেল সন্ধ্যার কাম্প ফায়ারের জন্য
কাঠ খুজতে .কিছু যুবক গেল পানির
কলের দিকে,সেখানে তারা গ্রামের
মেয়েদের জালাতন শুরু করলো.সন্ধ্যায়
তাদের বিরাট সংস্কৃতিক সন্ধ্যা
উদযাপিত হলো.তারা ইংরেজি গান ছেড়ে
ডিস্কো নাচ নাচলো.তারা চিত্কার
করলো ,আর তাদের নাচ থামল যখন তাদের
মধ্যে দুইজন মাতাল মারামারি শুরু
করলো.এরপর দিন সকালে তারা মাত্র
সাত আঠ জন ছিল.যে বাড়িতে তারা উঠেছিল
তাদের তিনজন সহ,তারপর তারা অ.মু.প্র
শুরু করলো.
এই
ধরনের অংশগ্রহণহীন অ .মু.প্র সুখ
ভাগ করে নেই না বরং অন্যদের সুখ নষ্ট
করে.এই ধরনের অংশগ্রহণ মূলক মূল্যায়ন
প্রক্রিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করে.
আমরা
অংশগ্রহনের মাধমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায়
যা করি তা অন্যভাবেও করা যায়.অন্য
কৌশল ব্যবহার করে ও সমাজের মানুষের
অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা যায় .অন্য কৌসল
ব্যবহার করেও আমরা অশিক্ষিত ও প্রান্তীয়
মানুষগুলোকে সামাজিক উন্নয়নমূলক
কাজে এগিয়ে আসতে উত্সায়িত করতে
পারি.কিন্তু অংশগ্রহনের মাধ্যমে
মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার আসল নীতি হচ্ছে
সুখ ভাগ করে নেয়ার সুন্দর পরিবেশ
তৈরী করা.
কাঠমুন্ডর
উত্তর-পূর্ব দিকের সিধুপাল জেলার
একটি গ্রামে ভালো থাকার ক্রম বিন্যাস
করা হয়.এক দোল গ্রামবাসী এটা করেছিল
.তারা একজন বৃদ্ধ লোক কে নিচু পর্যায়ে
রেখেছিল.সে সেটা মানলো না .অনেক কখন
আলোচনা চলল .অন্যরা বিভিন্ন উধারণ
দিয়ে প্রমান করতে চাইল যে সে দরিদ্র.
আসলে তারা তাকে সাহায্য করতে চাচ্ছিল
কারণ এই প্রজেক্টটি তে দরিদ্র লোকদের
জন্য কিছু কর্মসূচি ছিল. বৃদ্ধলোক্তির
কিছুই ছিল না. তার পক্ষে দুইবেলা
খাবার যোগার করাও কঠিন ছিল.সে বলল,
"আমার অনেক খাদ্য নাই ,কিন্তু আমি
সুখী, আমি এই গ্রামের সবচেয়ে সুখী
মানুষ. তোমরা কি আমাকে কখনো দু:খিত
বা বিষন্ন হতে দেখেছ?তাহলে তোমরা
কিভাবে আমাকে দরিদ্র বলছ?"আসলে সে
ছিল একজন যে সবসময় উন্নয়ন মূলক কাজে
অংশ নিত এবং নেতৃত্ব দিত.পরিশেষে
অন্যরা তাকে মধ্যম পর্যায়ে স্থান
দিল.
কাজের
পর আমরা ওই লোকটির সাথে অনেক খন কথা
বললাম.আমরা দেখতে পেলাম তার মাঝেই
একটি আনন্দের উত্স রয়েছে. সকল গ্রামবাসী
তার অনুপস্তিতি অনুভব করে যখন সে
কিছুদিনের জন্য অনুপস্তিত থাকে.সেই
অ.মু.পর দোল বুঝতে পারল নিশ্চয়ই মৌলিক
চাহিদা সকলের অধিকার এবং ক্ষুধা
সুখী হতে বাধার সিস্ত্রী করতেও পারে.
তাহলে বলা চলে, অর্থনৈতিক সচ্ছলতাকে
আবেগিক ও আত্মিক ভালো থাকার সাথে
তুলনা করা চলে না.
গতমাসে
আমাদের আলোচনা ছিল উন্নয়ন ও আঠ্মিকতার
উপর .কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল,"সমাজের
প্রান্তীয় পর্যায়ের মানুষের কর্মসংস্থানের
সম্পর্কে কি করা যায় ? কার সাথে সুখ
ভাগ করবে?"এই আলোচনার উপস:হার ছিল
নিম্নরূপ:
"হ্যা
এটা সত্যি আমরা কোনো অসমতা চাই না
আমরা চাই না কোনো শোষণ ,'আমরা চাই
বেকার জনগনের ক্ষমতায়ন .'তার জন্য
আমরা চাই প্রান্তীয় মানুষ বা বঞ্চিত
মানুষের উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ.আমরা
তাদের কথা সুনতে চাই.আমরা তাদের
ধারণা বা অভিপ্রায় শুনতে চাই.আমরা
এটা করতে চাই এই কারণে নয় যে এটা আমাদের
দায়িত্বের অংশ বরং আমরা এটা করে
আরো আনন্দ বোধ করতে পারি. আমাদের
তাদের কে অনুভব করতে দেয়া উচিত যে
আমরা তাদের ক্ষমতায়ন প্রণালীতে
সাথী হয়ে সুখী.এইভাবেই আমরা তাদের
সাথে সুখ ভাগ করে থাকি.যকন তারা আমাদের
আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে জানতে পারে
তারাও তাদের আনন্দ তখন আমাদের সাথে
ভাগ করতে শুরু করে.হ্যা ,অবশ্যই অ.মু.প্র
প্রান্তীয় মানুষের সাথে আমাদের
সুখ ভাগ করে নিতে অনেক সহ্য করতে
পারে.অ.মু.প্র আমাদের মধ্যেকার সকল
সৌজন্যতার দেয়াল দূর করে এবং অ.মু.প্র
তাদের ভাবনা অনুযায়ী প্রণালী কে
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সমর্থন করে."
একজন
ভি দি সি প্রধান অ.মু.প্র ব্যবহার
করে পরিকল্পনা করার অভিজ্ঞতার কথা
আমাদের জানান,
"অ.মু.প্র
র আগে আমরা সাধারণত সকল ওয়ার্ড মেম্বারদের
দাবি সংগ্রহ করতাম.তখন আমাদের টেবিল
কে অনেক সহ্য করতে হত কারণ সকল মেম্বার
টেবিল চাপড়িয়ে তার দাবি কে সবচেয়ে
জরুরি প্রমান করতে চাইতেন.যাই হোক
এখন জোড়া পদ্ধতি ক্রমবিন্ন্যাসের
ফলে আমাদের টেবিল গুলো বেচে গেছে.আমরা
এখন আনন্দের সাথে আমাদের অগ্রাধিকার
বিবেচনা করতে পারি."
এই
পদ্ধতির মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা
থেকে আমি শিখেছি এবং জানতে পেরেছি
যে অ.মু.প্র সাহায্য করেছে গ্রামবাসী
এবং আমাদের মধ্যে আনন্দ অ সুখ ভাগ
করে নিতে.বিশেষ করে সেই মানুষগুলোর
সাথে যারা প্রান্তীয় অ দুর্বল.আমি
বিশ্বাস করি কোনো কিছুর ইতিবাচক
দিক নিয়ে চিন্তা করলে তা উন্নয়নের
পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করে.নেতিবাচক
দিক নিয়ে শুধুমাত্র চিন্তা করলে
এটি আমাদের অবরুদ্ধ করবে.শুধুমাত্র
নেতিবাচক দিকে মনোযোগী হলে আমরা
সামনে এগিয়ে যেতে পারব না.
কামাল
ফুয়াল নেপাল
এই
রচনাটি পেশ করা হয় এই
.ডি.এস ওয়ার্কসপে"পাথওয়েস
অব পার্তিচিপেসন"
––»«––
© কপি রাইট ১৯৬৭, ১৯৮৭, ২০০৭ ফিল বার্টল ওয়েব ডিজাইন লুসে সাদা
––»«––শেষ আপডেটঃ ০৯.০২.২০১১
|