হোম পেজ
 অংশগ্রহনমূলক মাননির্ণয়/অংশগ্রহনের মাধ্যমে মূল্যায়ন




অনুবাদ:

'العربية / al-ʿarabīyah
বাংলা / Baṅla
Català
中文 / Zhōngwén
Deutsch
English
Español
Filipino/Tagalog
Français
Ελληνικά / Elliniká
हिन्दी / hindī
Italiano
بهاس ملايو / Bahasa Melayu
Polszczyzna
Português
Română
తెలుగు /Telugu
Tiếng Việt

                    

অন্য পেজ:

মডিউল

সাইট ম্যাপ

গুরুত্বপুর্ন শব্দসমূহ

ঠিকানা

সাহায্যকারী তথ্যাবলী

কর্যকরী লিংক

অংশগ্রহণমূলক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পদ্ধতি সমূহ

গ্রাম সংক্রান্ত অংশগ্রহণমূলক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পদ্ধতি এবং কৌশলের একটি পর্যালোচনা

মূল: ফিল বার্টেল ,পি এইচ ডি

অনুবাদ: শামানা ইয়াসমীন


সমন্বনয়কারীর প্রসঙ্গ

গ্রাম সংক্রান্ত অংশগ্রহণমূলক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পদ্ধতি এবং কৌশলের একটি পর্যালোচনা

অ.গ্র.মু.প্র (অংশগ্রহনমূলক গ্রাম সংক্রান্ত মুল্যয়ন প্রক্রিয়া)এই সংক্ষিপ্তরূপ হয়ত আপাতদৃষ্টিতে ভুল ধারণা দিতে পারে কারণ এতে 'গ্রাম সংক্রান্ত ' কথাটি উল্লেখ আছে ,যদিও এটি গ্রামের ক্ষেত্রে যেমন প্রয়োগ করা চলে তেমনি নগরের প্রতিবেশীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়, আবার যদিও আর মাঝে মূল্যায়ন কথাটি নিহিত আছে ,এটি মূল্যায়ন পর্ব ছাড়িয়ে ও কর্ম পরিকল্পনা এবং প্রজেক্টডিজাইন পর্যন্ত বিস্তৃত.

এই পদ্ধতির অংশগ্রহণমূলক বৈশিষ্টটি হচ্ছে অটল এবং অপরিবর্তনীয়.এটা হতে পারে নগর বা গ্রামের গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণ.অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণ .

সেই সকল সদস্যদের বক্তব্য দিতে প্রাধান্য দিন যাদের মতামত সাধারণত জানা যায় না .তাদের কিছু গঠন প্রণালী এবং উদ্দীপক দিন কিন্তু বিষয় বস্তু অবশ্যই হবে সদস্যদের পছন্দ অনুযায়ী.তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের দায়িত্ব অংশগ্রহণকারীদের , এই ক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব হবে এই পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ করা নয় বরং এই পদ্ধতিকে সুবিধা দেয়া.

অংশগ্রহণ মূলক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার কৌশলসমূহ:

অংশগ্রহণমূলক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার বিবিধ পদ্ধতি এবং পথ রয়েছে .আপনার জীবিকার উপর নির্ভর করে আপনি নিজের মত বিভিন্ন পথ তৈরী করতে পারেন এবং চলার পথে কোনো পথ নির্দিষ্ট করতে পারেন ও পরিবর্তন করতে পারেন.

শুরু করার জন্য এগুলো দেয়া হলো. আপনি মক্কেলের পরিমাপ অনুযায়ী ,স্থান, কাল, ও অংশগ্রহণকারীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এগুলোকে পরিবর্তন করতে পারেন এবং ছাচে ফেলতে পারেন .

মানচিত্র তৈরী করণ :

সম্প্রদায়ের মানচিত্র অঙ্কনই আপনার জন্য এবং সম্প্রদায়ের জন্য শুরু করার সবচেয়ে উত্তম পথ.সম্প্রদায়ের মধ্ধয় দিয়ে দলকে নিয়ে পদব্রজে ভ্রমনে বের হন. এবং তাদের এলাকাটির একটি মানচিত্র অঙ্কন করতে দিন.মানচিত্রের মাঝে অন্তর্ভক্ত থাকবে সাম্প্রদায়িক সুবিধেসমূহ, নিজস্ব ও পরিবারের বাড়িগুলো,সম্পদ এবং তাদের দায়বদ্ধতা সমূহ. তাদের জন্য মানচিত্র অঙ্কন করে দিবেন না.

একটি পদ্ধতি হচ্ছে ব্যক্তি বা চত দোল প্রত্যেকে একটি আলাদা মানচিত্র তৈরী করবে,তারপর দলীয়ভাবে সব ছোটো ম্যাপে যা অন্তর্ভুক্ত আছে তার সব কিছুর সংযুক্তি ও সংশ্লেষণ গতিয়ে সকল ছোটো দোল গুলোর সবাই মিলে একটি বড় ম্যাপ তৈরী করবে (নিউজ্প্রিন্ত বা ফ্লিপ্চার্তের কাগজ ব্যবহার করবে) .

বৈজ্ঞানিকভাবে তৈরী ম্যাপগুলয় যে রকম তথ্য পাওয়া যাই ,সেই রকম মূল্যবান তথ্য স্থানীয় মানুষের তৈরী ম্যাপ থেকেও পাওয়া সম্ভব.এই সব মানচিত্র গুলো অন্কনকারীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে এবং আঞ্চলিক অর্থ সংগ্রহের উপায় ,জমির ব্যবহার এবং স্থানীয় বসবাসের প্যাটার্ন অথবা গৃহস্থালি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমূহ সম্পরকে জ্ঞানের প্রকাশ ঘটায়.

এরপর আলোচিত হয়েছে ম্যাপ ও মডেলের মধ্যে কোনটি.আপনি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মাটিতে মানচিত্র আকতে বলতে পারেন.তারা লিনে একবার জন্য কাঠি ব্যবহার করবেন. মাটিতে মানচিত্র অঙ্কন দেয়ালে বিরাট মানচিত্র অঙ্কনের মতই যা আপনার এবং অংশগ্রহণকারীদের অঙ্কন পদ্ধতিকে সহজেই দলগত রূপ দিবে.

মডেলগুলো:

যদি সম্প্রদায়ের সদস্যরা মাটিতে আচর কাটা মানচিত্রের সাথে কাঠি এবং পাথর যুক্ত করে তবে একটি সাধারণ মানচিত্রকে ত্রিমাত্রিক আকার দেয়.

অংশগ্রহণকারীদের জন্য মানচিত্র অঙ্কন করে দিবেন না বা মডেল তৈরী করে দিবেন না, বরং তাদের সবাইকে অংশগ্রহণ করতে উত্সাহিত করুন .আপনি যখন তাদের লক্ষ্য করবেন তখন বিশেষভাবে লক্ষ্য করবেন যে, কারো সামনে কিছু সুবিধা আগে থেকেই করা আছে কিনা,কারটি অন্যদের থেকে অনুপাতের দিক দিয়ে বড় হয়ে গাছে কিনা. এটি আপনাকে অন্তর দৃষ্টি দিবে সদস্যদের কার কাছে কোনটি বিষয়টি জরুরি সেটা জানতে.

এইগুলো লিখে রাখুন ,এটি আপনার সম্প্রদায়ের সামাজিক বোঝাপড়া বুঝতে সাহায্য করবে.কাগজে মানচিত্র বা মডেলের একটি অনুলিপি তৈরী করে রাখুন যা স্থানীয় দলিল হিসেবে কাজ করবে.পরবর্তিতে ম্যাপ এবং মডেল গুলো পদ ভ্রমন পরিচালনা করবে,যা দ্বারা আরো বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করা যাবে.

সম্প্রদায়ের বিস্তারিত তালিকা তৈরী :

তালিকা এবং এই তালিকা তৈরির পদ্ধতিটিই অংশগ্রহনের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অতি জরুরি এবং কেন্দীয় উপাদান.

সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরির পদ্ধতিটিকে কখনো কখনো অংশিক সাক্ষাত্কার বলা চলে.যদি এটির বিষয় বস্তু একেবারেই আগে থেকে তৈরী না হত তাহলে এটি পরিনত হত একটি অযথা কথোপকথনে যা কোনো লক্ষেই পৌছত না .বিপরীতে মস্তিস্ক সঞ্চালন পর্বটি খুবই পরিকল্পিত ( সম্প্রদায়ের প্রজেক্ট ডিজাইন পর্বে মস্তিস্কসঞ্চালনের বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে).তালিকা তৈরী মস্তিষ্ক সঞ্চালন এবং প্রজেক্ট ডিজাইন এই দুয়ের মাঝামাঝি একটি পর্যায়. আপনি কিছুটা খোলামেলা আলোচনার সুযোগ দিবেন, তালিকা প্রস্তুতিতে অংশগ্রহণকারী সকলের অংশগুলোকে বিশ্লেষণ করতে দিন.

আপনি একটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন ছেট তৈরী করে কাজ করবেন না ,আপনার জন্য ভালো হবে বিষয় বস্তুর একটি চেকলিস্ট তৈরী করে কাজ করা যাতে করে সকলে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়এবং কাজ করা যায়.যখন আপনি চেকলিস্টটি তৈরী করবেন তখন সম্প্রদায়ের সম্পদ এবং দায়বদ্ধতা অন্তর্ভুক্ত করার কথাটি মনে রাখতে হবে.প্রাপ্ত সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন যার মধ্যে থাকবে তারা কেমন ভালো কাজ করছে বা কাজ করছে না এই বিষয় গুলো.অন্তর্ভুক্ত করুন শক্তি এবং সুযোগ গুলাবং আরি সাথে বর্তমান ও সম্ভাব্য প্রতিকুলতা এবং সন্কাগুলো.মনে রাখবেন এটি একটি মান নির্ণয় প্রক্রিয়া.

তালিকাটির লক্ষ্য হবে সম্প্রদায়ের শক্তি এবং দুর্বলতার মূল্যায়ন করা.আপনার কাজ হবে তালিকা তৈরী নয় বরং সম্প্রদায়ের সদস্যদের দলে বিভক্ত করতে নির্দেশনা দেয়া.

নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দলগত আলোচনাসমূহ:

সম্প্রদায়ের সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা ও অভিমত থাকতে পারীয়থবা বহিরাগত বা সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের সামনে তথ্য প্রকাশ করতে তারা সংকোচ বা অস্বস্তিবোধ করতে পারে.এইরকম স্থানে নির্দিষ্ট বিষয় বিস্তু নির্ভর দলগত আলোচনা ফলপ্রসু হবে. এইক্ষেত্রে আপনি একা কাজ না করে দু তিন জনের একটি প্রশিক্ষণ দল নিয়ে কাজ করুন. একজন আলোচনায় নেতৃত্ত্ব দিবে আরেকজন তা লিপিবদ্ধ করবে.

সাধারণ তালিকা তৈরির জন্য নির্ধারিত বিষয় বস্তুর তুলনায় এই ক্ষেত্রে আরো কম সংখ্যক বিষয় বস্তু আলোচনার জন্য নির্ধারিত হবে.বিভিন্ন ইচ্ছা সম্পন্ন দলের জন্য পৃথক বৈঠক পরিচালনা করুন ,তাদের মতামত গুরুত্বের সাথে লিপিবদ্ধ করুন .তারপর তাদের একত্রিত করুন এবং দলগতভাবে তাদের নিজস্ব মনোযোগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মতবিনিময় করতে বলুন.এই ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হওয়া জরুরি.যখন আপনি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন লক্ষ্য বা ইচ্ছা সম্পন্ন দলকে চিনতে পারবেন তখন আপনি বিভিন্ন দলের মধ্যে বিভেদ আরো বৃদ্ধি করতে চাইবেন না.

ইউনিটি অর্গানায়জেসন বা একটা সংগঠিত করণ ট্রেইনিং নথিটি দেখুন .

বিভিন্ন লক্ষের দলকে একই লক্ষে আনা আপনার লক্ষ্য হবে না আপনার প্রয়াস হবে তাদের মধ্যে সমঝোতা,সহযোগিতা, এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি করা.বিশেষ লক্ষের দল গুলো আপনাকে বিভিন্ন বিশেষ দল নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়, এরা প্রথমে একসাথে কাজ করাকে কঠিন মনে করত.আপনাকে এই সকল বিশেষ লক্ষ্য সম্পন্ন দল গুলো কে একত্রিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে.

নির্বাচিত পছন্দের ক্রমানুযায়ী বিন্যাস :

আপনি যখন বিভিন্ন ইচ্ছা সম্পন্ন একটি সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করবেন,তকন আপনি বিভিন্নদলের নির্বাচিত পছন্দের ক্রমানুযায়ী বিন্যাস তালিকাবদ্ধ করতে পারেন.তারপর সকল দল নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করুন.

দলগত সাক্ষাত্কারের পূর্বে এই ক্রম বিন্যাস একটি ভালো "আইস ব্রেকারের বা বরফ কাটার যন্ত্রের" কাজ করে.এবং অলোক্ষ্হোনকে কেন্দ্রিভুতকর্তে সাহায্য করে.

সম্পদের ক্রমঅনুযায়ী বিন্যাস :

এটি একটি বিশেষ উপকারী পদ্ধতি যার দ্বারা জানা যায়:১) সম্প্রদায়ের সদস্যরা দারিদ্রকে কি ভাবে সংগায়িত করেন? ২)প্রকৃত পক্ষেই দরিদ্র ব্যক্তি করা? ৩)সম্পদের নমুনাকে কিভাবে স্তর বিন্নায়্স করা যায়?এটি সবচেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায় তখনি যখন সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে রেপর্ট তৈরী করা যায়.

এই কাজটি করার জন্য একটি খুব ভালো পদ্ধতি হচ্ছে সম্প্রদায়ের প্রত্যক পরিবারের নাম কার্ডে লিখুন.সম্প্রদায়ের কিছু সদস্যকে নির্বাচিত করুন.তাদেরকে সম্পদের মাত্র অনুযায়ী কার্ডগুলোকে বিভিন্নদলের অন্তর্ভুক্ত করতে বলুন এবং দল বিভক্তকরণের পিছনে তাদের কারণ বা যুক্তিটি উল্লেখ করতে বলুন.কিভাবে তারা তাদের গোষ্ঠির সদস্যদের শ্রেণী বিভক্ত করে এবং কি কারণে ,বিভিন্ন পরিবার বিভিন্ন শ্রেণীতে/দলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ,এই প্রশ্নগুলোর পর্যালোচনার মাধ্যমে সম্প্রদায়ের অর্থ সামাজিক গঠন প্রকাশ পায়.

মৌসুমী এবং ঐতিহাহিক নকশা:

একটি অল্প সময়ের ভ্রমনে একটি এলাকার মৌসুমী এবং ঐতিহাসিক বিভিন্নতা এবং সাময়িক ফ্যাসন গুলো বাদ পরে যায়.

আপনি বিভিন্ন নকশা বা অনুচিত্রের কৌশলটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন যা আপনাকে বিভিন্ন পরিবর্তনকে আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে.যেমন বৃষ্টিপাত, জনশক্তির আকাঙ্ক্ষা খামারের (মত্স্য,শিকর, পশুপালন) কার্যক্রম.জ্বালানি কাঠ সরবরাহ,অসুখ ,মহামারীর পরিস্থিতি,কাজের জন্য স্থানান্তরিত হওয়া ,খাদ্য মজুদ আরো অনেক উপাদান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়.আপনার তৈরী নকশাটি পরিবর্তনের কারণ এবং গোষ্ঠির মানুষের নিহিতার্থ পর্জালোচার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে.

সাংগঠনিক মানচিত্র:

অন্যস্থানে আপনাদের বলা হয়েছে যে একটি সম্প্রদায়ের সুবিধাদাতাকে হতে হবে একজন সমাজ বিজ্ঞানী ,একজন সদা কর্মরত সমাজ বিজ্ঞানী .সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠন গুলো সম্পর্কে এবং গোষ্ঠির বিভিন্ন দলের আসল স্বভাব চিত্র সম্পর্কে তথ্য জানা স্বল্প কালীন ভ্রমণের মাধ্যমে খুবই কঠিন.সম্প্রদায়ের ধনী ও দরিদ্র অংশের মাঝের জটিল সম্পর্ক ,পরিবারের বন্ধন এবং রাজনৈতিক দল এই সকল জট খোলা অল্প কিছু সপ্তাহে সম্ভব নয়.অংশগ্রহনের মাধ্যমে মান নির্ণয় পদ্ধতি এইখানে উপকারী.

একটি সম্প্রদায়ের লঘু সংবেদনশীল সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বোঝার জন্য মূল তথ্য সরবরাহকারীকে ভেন ডায়েগ্রাম প্রস্তুত করতে বলতে হবে. এই কৌশলটি হচ্ছে কতগুলো বৃত্তের সমষ্টি মাত্র,প্রতিটি বৃত্ত গোষ্ঠিরতে কার্যরত এক একটি দলকে উপস্থাপন করে.প্রতিটি বৃত্তের আকার এক একটি দলের আপেক্ষিক গুরুত্ব উপস্থাপন করে.বৃত্তের আকার যত ছোটো হবে সেই দল তত কম প্রভাবশালী .দুটি বৃত্তের পরস্পরকে আচ্ছাদিত করার সংখ্যাটি প্রকাশ করবে দুটি দলের স্বমন্বয় এবং দুটি দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতার সংখ্যা.

জানুন এই কৌশলগুলো কখন ব্যবহার করতে হবে:

সম্প্রদায়ের সকলের অংশগ্রহনে মান্নির্নয় এবং মূল্যায়ন কাজ পরিচালনা করার জন্য অ.মু. প্র/ অ.গ্র.মু.প্র সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি.যদিও ক্ষমতায়নের প্রতিটি পর্যায়ের জন্য এটি সবচেয়ে কার্যকরী পথ নয়.

এই কৌশলগুলো সবচেয়ে ভালো পথ নয় নিম্নরূপ অবস্থায় ,উদাহরণ স্বরূপ ,যখন প্রয়োজনের কারণে দক্ষ জনসক্তি স্থানান্তর সনাক্ত করা হয়.ট্রেনিংটি (দক্ষতার স্থানান্তর) অংশগ্রহণমূলক ঠিকই এতে শিক্ষাত্রীরা কাজ করে শিখে কিন্তু অ.মু.প্র/ অ.গ্রা.মু.প্র কৌশল ব্যবহার করে শেখে না.

সম্প্রদায়ের সদস্যদের বোঝানোর জন্য আমরা সাধারণত রূপক,গল্প এবং প্রবাদ ব্যবহার করে থাকি.এই রকম একটি প্রবাদ হচ্ছে,"মুরগিকে দুধ দিতে বলনা,আবার গরুকে ডিম দিতে বল না."(অর্থাত যার যা ক্ষমতা তার সেরকম কাজ)

অ.মু.প্র/অ.গ্রা.মু.প্র পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার প্রত্যাশা হবে শুধুমাত্র অংশগ্রহনের মাধ্যমে মান নির্ণয় করণ.আর অন্যকিছু নয়.

––»«––

© কপি রাইট ১৯৬৭, ১৯৮৭, ২০০৭ ফিল বার্টল
ওয়েব ডিজাইন লুসে সাদা
––»«––
শেষ আপডেটঃ ০৯.০২.২০১১

 হোম পেজ

 অংশগ্রহণমূলক মূল্যায়ন